ঘরের বাইরে ধুলা এড়াতে অনেকেই মাস্ক পরেন। কিন্তু নিজের ঘরের ধুলা তাড়াতে কী করছেন! প্রতিদিনের ব্যবহৃত জিনিসপত্রেই থেকে যাচ্ছে ধুলার আস্তরণ। যা বাড়িয়ে দেয় ডাস্ট অ্যালার্জির মতো সমস্যা। এ সময়ের আবহাওয়ার কারণেই অনেক সময় ধুলা জমে ঘরে–বাইরে। তাই ঘর পুরোপুরি ধুলামুক্ত করতে না পারলেও অনেকটা নিয়ন্ত্রণে রাখার উপায় আছে।
এসির ফিল্টার নিয়মিত পরিষ্কার করুন। বেশি ধুলাযুক্ত বাড়ি হলে প্রয়োজনে ঘন ঘন ফিল্টার পরিবর্তন করতে হবে। তবে মনে রাখবেন, ধুলার জীবাণু বেশিক্ষণ বাতাসে থাকতে পারে না। তাই মেঝে ও দেয়াল পরিষ্কারের দিকেই আপনাকে বেশি নজর দিতে হবে।
ধুলামুক্ত থাকতে নিয়মিত আসবাব পরিষ্কার করতে হবে। প্রয়োজনে পুরোনো এবং অব্যবহৃত আসবাব সরিয়ে ফেলুন। আসবাব কম হলে আপনার ঘর আরও প্রশস্ত দেখাবে, ময়লা-আবর্জনা পরিষ্কার করাও সহজ হবে। বেশি নকশা করা আসবাবে ধুলাবালু বেশি জমে। তাই ঘরের জন্য এমন আসবাব বাছাই করতে চেষ্টা করুন, যাতে ধুলা পড়লে সহজে মুছে ফেলা যায়। আসবাবে খাঁজ থাকলে সেখানকার ধুলা ব্রাশ দিয়ে তুলে আনার চেষ্টা করুন।
কার্পেট, পাপোশ, শতরঞ্জি ও দরজা-জানালার পর্দা ধুলাবালু শোষণ করে। নিয়মিত পরিষ্কার ও ভ্যাকুয়াম করা না হলে এগুলো থেকে ধুলা পুরো ঘরে ছড়িয়ে পড়ে। ভ্যাকুয়াম ক্লিনার ঘরে না থাকলে সপ্তাহে অন্তত একবার পাপোশ, পর্দা ধুয়ে নিতে হবে। এতে করে এই উপকরণগুলো খুব বেশি ধুলা শোষণ করতে পারবে না।
বাসা ধুলামুক্ত রাখতে এটি খুবই কার্যকর উপায়। বিছানার চাদরের তন্তু তুলনামূলক ভারী ও মোটা হয়ে থাকে। ফলে এতে বাইরের ধুলাবালি বেশি আকৃষ্ট হয়। এ ছাড়া শরীরের মরা চামড়া, চুলও লেগে থাকে বিছানার চাদরে। নিয়মিত বিছানা ঝাড়া হলেও সাত দিন পরপর অবশ্যই চাদর বদলে নিতে হবে। নয়তো এই বিছানার চাদরই হয়ে যাবে ধুলার রাজ্য। বিছানার চাদরের সঙ্গে বালিশ-কোলবালিশের কাভারও বদলে নিতে হবে। সোফার কাভার বদলাতে না পারলেও কুশনের কাভার বদলানোর চেষ্টা করুন। মশারি প্রতিদিন খুলে ভাঁজ করে কাভারের ভেতরে রাখা উচিত।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।