জুমবাংলা ডেস্ক : ‘প্রতিদিন সংসার চালাতে হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছি। নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বেড়েই চলেছে। আমার আয় তো বাড়ছে না। কিভাবে চলব? দিশা পাই না। মুখে মুখে সবাই বিরক্ত। কেউ প্রতিবাদ করে না। তাই বসে গেলাম। কী হবে জানি না। নিজেকে বুঝ দিতে পারব, এটাই শান্তি।’
কথাগুলো বলছিলেন জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে একাই অনশনে বসা ২৭ বছর বয়সী আরমান হোসেন পলাশ।
নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বৃদ্ধির প্রতিবাদ জানিয়ে বাণিজ্যমন্ত্রীর অপসানল দাবিতে একাই অনশনে বসেছেন তিনি।
রাজধানীর পুরানা পল্টন মোড়ে চা বিক্রি করেন পলাশ। চা বিক্রি বন্ধ করে বুধবার সকাল থেকে তিনি জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনের ফুটপাতে অনশনে বসেছেন।
বৃহস্পতিবার দেখা যায়, ২৬ বছর বয়সী পলাশের পেছনে টাঙানো একটি ব্যানার। ব্যানারে বড় বড় অক্ষরে লেখা ‘প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ বাণিজ্যমন্ত্রীর অপসারণের দাবিতে অনশন’।
আরমান হোসেন পলাশ গণমাধ্যমকে বলেন, প্রতিদিনের ভোগান্তি সহ্য করতে না পেরেই এখানে অনশনে বসেছি।
পলাশ বলেন, অব্যবস্থাপনার কারণে অন্যান্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের দামও ঊর্ধ্বগতি। ভোগ্যপণ্য এখন গণভোগান্তিতে পরিণত হয়েছে। মানুষের ক্রয়ক্ষমতা নাকি বৃদ্ধি পেয়েছে, কিন্তু যারা আসলে ভুক্তভোগী, তারাই জানে আসলে তা হয়েছে কি-না।
আরমান জানান, স্ত্রী, সন্তান ও পরিবারের অন্যদের নিয়ে গাজীপুরের চৌরাস্তা এলাকায় একটি ভাড়া বাসায় থাকেন তিনি। গাজীপুর থেকে প্রতিদিন পুরানা পল্টনে আসেন। যাতায়াত ভাড়াসহ প্রতিদিন তার খরচ ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকা।
রাতে পুলিশের কয়েকজন সদস্য তাকে সেখানে থেকে উঠে যেতে বলেছেন। বৃহস্পতিবারও তাকে চলে যেতে বলা হয়েছে, না গেলে চায়ের দোকান বন্ধ করে দেওয়ার হুমকি দেওয়া হয়েছে বলে দাবি করেন আরমান হোসেন।
পলাশ গণ ঐক্য নামে একটি সংগঠনের আহ্বায়ক বলে জানান।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।