Advertisement
বর্তমান সময়ে জানুয়ারিতে নামে মাত্র আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এখানে উল্লেখযোগ্য স্ট্যান্ডার্ড মানের প্রতিষ্ঠান এবং পণ্যের সম্ভারের যথেষ্ট অভাব রয়েছে । মাত্র গুটি কয়েক বিদেশি প্রতিষ্ঠান এ বাণিজ্য মেলায় অংশ নিয়েছে। তবে তাদের মধ্যে বৈচিত্রের যথেষ্ট অভাব রয়েছে।
এজন্য এ ধরনের বাণিজ্যমেলার আয়োজন নিয়ে অনেক ক্রেতা এবং দর্শনার্থীর মধ্যে অসন্তোষ বিরাজ করছে। ভালো মানের প্রতিষ্ঠানের অংশগ্রহণ অনেক কম হওয়ার কারণে আগামী বছরে খাত ভিত্তিক মেলা আয়োজন করা যায় কিনা সে বিষয়ে ইপিবি চিন্তা করছে।
ক্রেতা-দর্শনার্থীরা বলেন, দুই-একটি স্টলে বিদেশি পণ্য থাকলেও বেশিরভাগই দেশি পণ্য। মূল্যছাড় আর অফার ছাড়া তেমন কিছুই নেই মেলায়।
বিদেশি স্টলেও বৈচিত্র্য নেই খুব একটা। অধিকাংশেই দেখা মিলছে জুতা, ব্যাগ, কার্পেট আর আলোক-বাতির মত সাধারণ পণ্যের। বিক্রেতারা পণ্য মানসম্মত দাবি করলেও কাঙ্খিত ক্রেতা না পাওয়ায় বিক্রি করছেন ছাড় দিয়ে। তারা বলেন, আশানুরূপ বেচাকেনা হচ্ছে না। ফলে পণ্য বিক্রি করতে হচ্ছে বাড়তি ছাড় দিয়ে।
আয়োজক সংস্থা রফতানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) বলছে, মাসব্যাপী মেলা হওয়ায় ভালো মানের বিদেশি প্রতিষ্ঠান অংশ নিতে অনিহা দেখায়। তাই মানের প্রশ্নে ছাড় না দিতে খাতভিত্তিক মেলা আয়োজনের পরিকল্পনা করছে সংস্থাটি।
ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলার ২৯ তম আসর চলছে ঢাকার পূর্বাচলে। মান নিয়ে যথেষ্ট প্রশ্ন রয়েছে। মনে হচ্ছে জাস্ট নামমাত্র একটি আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। নতুন পণ্যের বৈচিত্র নেই। ৩৫১ টির দেশি প্রতিষ্ঠান এখানে অংশগ্রহণ করছে এসব স্টলের পণ্য অধিকাংশ স্থানীয়ভাবে উৎপাদন করা হয়েছে।
একমাস অনেক দীর্ঘ সময় বিধায় অনেক বিদেশী প্রতিষ্ঠান এখানে আসতে চায় না। মেলার সময় যেন কমিয়ে নিয়ে আসা যায় সে বিষয়ে চিন্তা করা হচ্ছে। তবে ভারত, পাকিস্তান, তুরস্ক সহ সাতটি দেশ এখানে অংশগ্রহণ করছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।