আন্তর্জাতিক ডেস্ক : নেপালের কাঠমাণ্ডু থেকে পাঁচ কিলোমিটার উত্তরপূর্বে পশুপতিনাথ মন্দির অবস্থিত৷ সেখানে প্রায় তিনশো বানরকে প্রতিদিন রুটি খাওয়ান সরস্বতী দঙ্গল৷
বানর খাওয়ানো
প্রায় চার বছর ধরে নেপালের কাঠমাণ্ডু থেকে পাঁচ কিলোমিটার উত্তরপূর্বে অবস্থিত পশুপতিনাথ মন্দিরের বানরদের রুটি খাওয়াচ্ছেন সরস্বতী দঙ্গল৷ তিনশো বানরের জন্য প্রতিদিন প্রায় দশ কেজি ময়দার রুটি নিজেই তৈরি করেন সরস্বতী৷
সরস্বতীকে দেখেই বানরের ছুট
মন্দিরের চারপাশে কয়েক হাজার বানর থাকে৷ তবে সরস্বতীর কাছ থেকে রুটি পাওয়ার আশায় থাকে প্রায় তিনশ বানর৷ তাইতো তাকে দেখতে পেলেই ছুট দেয় বানরগুলো৷ কেউ ধৈর্য্য ধরে তার রুটি পাবার সময় আসা পর্যন্ত অপেক্ষা করে, কেউ রুটি কেড়ে নেয়ার চেষ্টা করে৷
খাবারের অভাব
সরস্বতীর রুটির আগে বানরেরা মন্দিরের পাশের বনের গাছ থেকে ফল খেত৷ কিন্তু গাছের সংখ্যা কমে যাওয়ায় ফলও গেছে কমে৷ সেই অল্পসংখ্যক ফল পেতে বানরদের মধ্যে যুদ্ধ চলে৷ কিন্তু বয়স্ক, বানরছানা ও তাদের মায়েদের জন্য শক্তিশালী বানরদের সঙ্গে যুদ্ধ করে খাবার সংগ্রহ করা সম্ভব হয় না৷ তাই সাধারণত এই জাতীয় বানরগুলোই সরস্বতীর আসার অপেক্ষায় থাকে৷
আহত বানর
সরস্বতী জানান, বনে গাছ কমে যাওয়ায় খাবারের সন্ধানে অনেক বানর লোকালয়ে বাড়িতে ঢুকে খাবার চুরি করতে যায়৷ ফলে মানুষের হামলায় অনেক বানর আহত হয়৷
খাবারের অন্য উৎস
পশুপতিনাথ মন্দিরে যাওয়া ভক্তদের অনেকে বানরকে খেতে দেন৷ এছাড়া মন্দিরে ভক্তদের রেখে যাওয়া ফল আর মিষ্টিও খেয়ে থাকে বানরেরা৷ ছবিতে বানরকে খাবার খোঁজ করতে দেখা যাচ্ছে৷
সন্তানের মতো
প্রতিদিনই বানরদের রুটি খাওয়ান সরস্বতী৷ কিন্তু কোনোদিন যদি না পারেন তাহলে তাঁর মন খারাপ হয়ে যায়৷ ‘‘আমি যখন একদিন না যেতে পারি তখন মনে হয় আমি আমার সন্তানদের খাওয়াতে পারলাম না৷ আমার মনটা খারাপ হয়ে যায়,’’ বলেন সরস্বতী৷ খবর- ডয়চে ভেলে’র
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।