জুমবাংলা ডেস্ক: বান্দরবানে শুক্রবার বন্যার পানি কিছুটা কমলেও আজ শনিবার (১৩ জুলাই) সকাল থেকে প্লাবিত এলাকাগুলোতে বন্যার পানি বেড়েই চলেছে। প্লাবিত হচ্ছে আরও নতুন নতুন এলাকার ঘরবাড়ি।
অব্যাহত ভারী বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে বান্দরবানে সাতটি উপজেলায় বন্যায় পানিবন্দী হয়ে পড়েছে অর্ধলক্ষাধিকেরও বেশি বিভিন্ন শ্রেণীপেশার মানুষ।

বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় আশ্রয়কেন্দ্রের সংখ্যা বাড়িয়ে করা হয়েছে ১৩১টি কিন্তু প্লাবিত এলাকাগুলোর তুলনায় আশ্রয়কেন্দ্রের সংখ্যা অনেক কম বলে অভিযোগ করেছে ভুক্তভোগীদের।
বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত সাঙ্গু এবং মাতামুহুরী নদীর পানিও হু হু করে বাড়ছে।
চলতি মাসের ৬ জুলাই থেকে বান্দরবানে অবিরাম বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে বান্দরবানের সাতটি উপজেলায় ভয়াবহ বন্যা দেখা দেয়।
সদর, রুমা, থানচি, রোয়াংছড়ি, লামা, আলীকদম এবং নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলায় তেত্রিশটি ইউনিয়ন এবং দুটি পৌরসভায় বন্যাকবলিত মানুষের সংখ্যা যেন বাড়ছে প্রতিযোগিতা দিয়ে।
টানা বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে শনিবার মেম্বারপাড়া, হাজেঘোনা, বালাঘাটা, কালাঘাটা’সহ আশপাশের এলাকাগুলোতে নতুন করে অনেক ঘরবাড়িতে বন্যার পানি প্রবেশ করেছে।
সাতটি উপজেলায় অর্ধলক্ষাধিক মানুষ এখন পানিবন্দী অবস্থায় রয়েছে।
বন্যা-পাহাড় ধসের প্রাণহানি ঠেকাতে দুর্যোগ মোকাবেলায় বান্দরবানে প্রশাসনের পক্ষ থেকে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং সাইক্লোন সেন্টারে খোলা হয়েছে ১৩১টি আশ্রয়কেন্দ্র। আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে অবস্থান নিয়েছে শত শত পরিবার। এছাড়াও আত্মীয়-স্বজন এবং পার্শ্ববর্তী ভবনে পাড়াপ্রতিবেশীর বাসায় অবস্থান নেয়া লোকদের ভোগান্তি যেন আরও কয়েকগুণ বেশি।
বন্যাকবলিত পানিবন্দী এলাকাগুলোতে এখনো পর্যন্ত প্রশাসন-পৌরসভা এবং ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষ থেকে কোনো ত্রাণ সহায়তা পৌঁছায়নি।
বন্যায় ভুক্তভোগী লাকী দাস, মোহাম্মদ জাফর বলেন, বন্যার পানি নামতে শুরু করেছিল শুক্রবার রাতে কিন্তু শনিবার সকাল থেকে ভারী বৃষ্টিপাত এবং পাহাড়ি ঢলে প্লাবিত এলাকাগুলোতে আবারও বন্যার পানি বাড়ছে। ভোগান্তির যেন শেষ হচ্ছে না। আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে পর্যাপ্ত জায়গা নেই। বন্যাদুর্গত এলাকাগুলোতে এখনো কোনো সরকারি-বেসরকারি সংস্থার পক্ষ থেকে ত্রাণ পৌঁছায়নি।
এদিকে ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে নতুন করে পাহাড় ধসের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। শহরের হাফেজঘোনা এলাকায় সড়কে পাহাড় ধসের ঘটনা ঘটেছে। তবে কোনো ক্ষয়ক্ষতির ঘটনা ঘটেনি। পাহাড় ধসের ঝুঁকিতে বসবাসকারীদের নিরাপদ স্থানে সরে যেতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে মাইকিং করা হচ্ছে।
এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক মো. দাউদুল ইসলাম বলেন, ‘ত্রাণ তৎপরতা চালানো হচ্ছে। দুর্যোগ মোকাবেলায় সব ধরনের প্রস্তুতি রয়েছে প্রশাসনের। পর্যাপ্ত ত্রাণ মজুদ রয়েছে গুদামে। আশ্রয়কেন্দ্রের সংখ্যাও আরও ৫টি বাড়িয়ে ১৩১টি করা হয়েছে।’ সূত্র: আজাদী
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।