চট্টগ্রাম প্রতিনিধি: বান্দরবানে গত ২৪ ঘণ্টায় দেশের সর্বোচ্চ ২৬৮ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। এতে তলিয়ে গেছে পার্বত্য জেলাটি। বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে গত দুইদিন ধরে। ভয়াবহ এই বন্যা পরিস্থিতিতে বান্দরবান বিদ্যুৎ অফিসও তলিয়ে গেছে।
জানা গেছে, বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় বান্দরবান সদর, রুমা, আলীকদমসহ জেলার বেশিরভাগ এলাকা বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। মোবাইল নেটওয়ার্ক না থাকায় যোগাযোগ ব্যবস্থাও অচল হয়ে পড়েছে। প্রায় এক সপ্তাহ ধরে টানা বৃষ্টিতে এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।
প্রাণ বাঁচাতে স্থানীয়রা অনেকে সাইক্লোন শেল্টারে আশ্রয় নিয়েছেন। কোনো ধরনের যানবাহন চলাচল করতে পারছে না বিধায় চট্টগ্রাম থেকে এক প্রকার বিচ্ছিন্নই হয়ে পড়েছে বান্দারবান জেলা। এ অবস্থায় নারী, শিশু ও বৃদ্ধ-বৃদ্ধাদের সবচেয়ে বেশি ভোগান্তির শিকার হতে হচ্ছে বলে জানান স্থানীয়রা।
বান্দরবানের স্থানীয় বাসিন্দা সাদেক হোসেন চৌধুরী জানান, জেলার সাঙ্গু নদী ও মাতামুহুরির নাব্যতা কমে যাওয়া এবং এই নদীর তীরবর্তী এলাকা ঘিরে গড়ে ওঠা প্রধান শহর, উপজেলা শহর এবং জনবসতিপূর্ণ গ্রামগুলো অল্প বৃষ্টিতেই পানিতে তলিয়ে যায়। এ অবস্থায় উজানে অতিরিক্ত বৃস্টিপাত হওয়ার কারণে নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে সমতলকে প্লাবিত করেছে। এতে সাধারণ মানুষের দুর্ভোগ চরম আকার ধারণ করেছে। অনেকেই অনাহারে অর্ধাহারে রয়েছেন। সাইক্লোন শেল্টারে আশ্রিতদের মাঝে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও জেলা প্রশাসন কর্তৃপক্ষ শুকনো খাবার ও রান্না করা খাবার বিতরণ করছে।
আইএসপিআর সূত্রে জানা গেছে, দুর্যোগ পরিস্থিতি মোকাবিলায় বান্দারবান জেলায় সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। সেনাসদস্যরা পানিবন্দি হয়ে পড়া লোকজনকে উদ্ধার করে বিভিন্ন সাইক্লোন শেল্টারে পাঠিয়ে দিচ্ছেন। পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত সেনাবাহিনী উদ্ধার ও সহায়তা কাজে নিযুক্ত থাকবেন।
এদিকে দীর্ঘ সময় ধরে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন থাকায় মোবাইল এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমও পুরোপুরি বন্ধ রয়েছে। এমন পরিস্থিতি ইতোপূর্বে আর হয়নি বলে জানা গেছে।
এদিকে আবহাওয়া অধিদপ্তরসূত্রে জানা গেছে, মৌসুমি বায়ুর অক্ষ পাঞ্জাব, হরিয়ানা, উত্তর প্রদেশ, বিহার, পশ্চিমবঙ্গ এবং বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চল হয়ে আসাম পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। এর একটি বর্ধিতাংশ উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।