সাইফুল ইসলাম, মানিকগঞ্জ : মানিকগঞ্জে পুলিশ সদস্য মাসুদ রানার স্ত্রী বিলকিস আক্তার (৩০) হত্যার রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ। হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে এক নারীসহ ৪ জনকে আটক করেছে মানিকগঞ্জ সদর থানা পুলিশ।
বুধবার সকাল ১১টায় প্রেস বিফিংয়ের মাধ্যমে সাংবাদিকদের বিষয়টি নিশ্চিত করেন পুলিশ সুপার গোলাম আজাদ খান।
প্রেস বিফিংয়ে তিনি জানান, গত ১১ সেপ্টেম্বর শহরের ভাড়া বাসা থেকে বিলকিসের হাত-পা বাঁধা মরদেহ উদ্ধার করে সদর থানা পুলিশ। মরদেহটি উদ্ধারের পর মানিকগঞ্জ সদর থানায় অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামী করে মামলা দায়ের করেন বিলকিসের বাবা মজেম বেপারী। এ ঘটনায় আসামীদের ধরতে তৎপর হয় মানিকগঞ্জ সদর থানা পুলিশ। গ্রেপ্তার হয় বিলকিস হত্যাকান্ডের সঙ্গে জড়িত সকল আসামী। উদ্ধার করা হয় বিলকিসের বাসা থেকে লুট হওয়া মোবাইল, টাকা ও স্বর্ণালংকার।
সামান্য কিছু টাকা এবং স্বর্ণালংকারের লোভে বিলকিসকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে বিলকিসের বান্ধবী আঁখি মনি ওরফে লিপি (২০)। আর এই হত্যাকান্ডে সহায়তা করে কবির হোসেন (৩০), রিয়াজ উদ্দিন সরদার (২৬) এবং শাকিল হাসান (১৯) নামের তিন ব্যক্তি। তাদের কাছ থেকে নিহত বিলকিসের বাসা থেকে লুট হওয়া তিনটি মোবাইল ফোন, এক জোড়া রুপার নূপুর, তিন জোড়া স্বর্ণের কানের রিং, ব্রেসলেট একটি, লকেট একটি, কানের দুল দুইটি এবং নগদ পাঁচ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়।
এর আগে, গত ১১ সেপ্টেম্বর মানিকগঞ্জ জেলা শহরের রিজার্ভ ট্যাংকি এলাকার ভাড়া বাসা থেকে বিলকিসের হাত-পা বাঁধা মরদেহ উদ্ধার করে সদর থানা পুলিশ। নিহত বিলকিস আক্তার ছেলে ফাহিম (১২) ও মেয়ে দোলা আক্তারকে (৬) নিয়ে ভাড়া বাসায় থাকতেন। তার স্বামী পুলিশ কনস্টেবল (সাময়িক বরখাস্তকৃত) মাসুদ রানা গাজীপুর জেলায় কর্মরত ছিলেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।