বিনোদন ডেস্ক : স্বকীয় ছাপের সুরের মতোই নিজস্ব ভাবমূর্তিতেও স্বতন্ত্র ছিলেন ভারতীয় শিল্পী বাপ্পি লাহিড়ি। তার ওজনদার ছোটখাটো শরীরে ছিল প্রচুর সোনার গয়না। গলায় সোনার একাধিক ভারী চেন। তাতে ঝুলত বড়সড় লকেট।
হাতের সব আঙুলে সোনা-রুপোর আংটি। তাতে বসানো বহুমূল্য পাথর। কব্জিতে ব্লেসলেট। বাদ পড়েনি কানের লতিও। তাতে হরেক সাইজের দুল পরতেন। চুলের ছাঁটেও কম কেতা ছিল না। এছাড়া তিনি একটি ওজনদার রোদচশমা পরতেন । তবে বাপ্পি লাহিড়ির গা-ভর্তি সোনার গয়না নিয়েই ঘুরেফিরে প্রশ্ন অনেক প্রশ্ন আসত তার কাছে।
এ তারকা-সুরকারের কাছে অনেক সাংবাদিকই প্রশ্ন করেছেন যে সোনার গয়নার প্রতি আপনার এত টান কেন বাপ্পি’দা? একবার ‘ইন্ডিয়ান আইডল’-এর এক পর্বে সরাসরি এমন প্রশ্ন করে বসেন এক প্রতিযোগী।
ওই টেলিভিশনের মিউজিক রিয়েলিটি শোয়ে তখন বিচারকের আসনে ছিলেন বাপ্পি লাহিড়ি। ১২তম পর্বের প্রতিযোগীরা গান শেষ করেছেন। তখন বিচারক বাপ্পিকে প্রশ্ন করে বসেন ওই অনুষ্ঠানের প্রতিযোগী দানিশ। তিনি জিজ্ঞাসা করেন, ‘আপনার স্টাইল আর সোনার গয়নার ব্যাপারটা সত্যিই দারুণ। এ স্টাইলের পিছনে কার অনুপ্রেরণা রয়েছে?’
বাপ্পি লাহিড়ি যেন এমন অদ্ভুত প্রশ্নেরই অপেক্ষায় ছিলেন। অকপটে জানিয়েছিলেন কেন সোনার গয়নার প্রতি তার এত ঝোঁক। তিনি বলেছিলেন, ‘আমার প্রথম ছবি ‘জখমি’ দারুণ সফল হয়েছিল। তাতে খুশি হয়ে আমার মা একটা সোনার হার উপহার দিয়েছিলেন আমায়। তারপর থেকে সোনা আমার কাছে সৌভাগ্যের প্রতীক হয়ে গিয়েছিল। কারণ, এরপর প্রতিটি গানই হিট।’
বাপ্পি লাহিড়ির গা-ভর্তি সোনার গয়নার নেপথ্যে এলভিস প্রেসলিরও কম অবদান ছিল না। এলভিসের গলাতেও ঝুলত ভারী সোনার ক্রশ। এক সময় ওটাই তার স্টাইল হয়ে দাঁড়িয়েছিল। ‘কিং অব রক অ্যান্ড রোল’-কে নিজের অনুপ্রেরণা মনে করতেন বাপ্পি। তিনি বলেছিলেন, ‘এলভিস প্রেসলি যেভাবে নিজের ভাবমূর্তি তৈরি করেছিলেন, তাতে একেবারে মুগ্ধ ছিলাম। ভেবেছিলাম, আমাকেও তার মতো নিজের পরিচিতি গড়ে তুলতে হবে।’
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।