স্পোর্টস ডেস্ক : খেলার মাঠে অসদাচরণের দায়ে কোনো খেলোয়াড়ের শাস্তি পাওয়া খুবই সাধারণ ঘটনা। কিন্তু এই শাস্তি যদি হয়ে থাকে খোদ খেলোয়াড়ের বাবার মাধ্যমে তাহলে বিষয়টি আসলেই অবাক করার মতো। আর এমনটাই ঘটেছে স্টুয়াট ব্রডের সঙ্গে।
অসদাচারণে আইসিসির ‘কোড অফ কন্ডাক্ট’ ভঙ্গের দায়ে শাস্তি পেয়েছেন ব্রড। পাকিস্তানের বিপক্ষে ওল্ড ট্রাফোর্ডে সিরিজের প্রথম টেস্ট চলার সময় ২.৫ ধারা ভেঙেছেন ইংলিশ এই পেসার।
এ জন্য তার বাবা ম্যাচ রেফারি ক্রিস ব্রড ম্যাচ ফি-র ১৫ শতাংশ জরিমানা করেন ব্রডকে। এছাড়া একটি ডিমেরিট পয়েন্ট পেয়েছেন ইংলিশ এই পেসার।
নিজের দোষ স্বীকার করে নিয়েছেন বলে আনুষ্ঠানিক শুনানির প্রয়োজন হয়নি। এর আগে অন-ফিল্ড আম্পায়ার রিচার্ড কেটেলবোরো ও রিচার্ড ইলিংওর্থের সঙ্গে টিভি আম্পায়ার মাইকেল গফ ও চতুর্থ আম্পায়ার স্টিভ ও’শনেসি ব্রডের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ এনেছিলেন।
কোভিড-১৯ এর কারণে নতুন প্লেয়িং কন্ডিশনে নিরপেক্ষ ম্যাচ অফিশিয়ালের বদলে স্থানীয় অফিশিয়ালকে দায়িত্ব পালনের অনুমতি দিয়েছে আইসিসি। যে কারণে ইংল্যান্ডের সিরিজে স্থানীয় আম্পায়ারদের সঙ্গে ম্যাচ রেফারির দায়িত্বে আছেন ক্রিস ব্রড।
ওল্ড ট্রাফোর্ড টেস্ট চলাকালীন সময়ে পাকিস্তানের ইয়াসির শাহকে আউট করার পর অনপুযুক্ত ভাষা ব্যবহার করেছিলেন ব্রড, যা লেভেল ওয়ান পর্যায়ের অপরাধের মধ্যে পড়ে। এ অপরাধের সর্বোচ্চ শাস্তি ভর্ৎসনা, ম্যাচ ফির ৫০ শতাংশ জরিমানা ও দুটি ডিমেরিট পয়েন্ট।
আইসসির ধারা ২.৫ এ বলা আছে, ‘আন্তর্জাতিক ম্যাচে কোনো ক্রিকেটার, সাপোর্ট স্টাফকে কোনও রকমের ভাষা, কাজ বা অঙ্গভঙ্গী দেখানো, যা আক্রমণাত্মক প্রতিক্রিয়ার দিকে ঠেলতে পারে।’
এই ডিমেরিট পয়েন্ট দিয়ে ২৪ মাসের সময়সীমায় ব্রডের ৩টি ডিমেরিট পয়েন্ট হলো। আর একটি ডিমেরিট পয়েন্ট পেলে একটি টেস্ট ম্যাচ, অথবা দুটি ওয়ানডে বা টি-টোয়েন্টি ম্যাচের জন্য নিষিদ্ধ হবেন ব্রড, যে ফরম্যাট আগে পড়বে সেটাই কার্যকর হবে।
এর আগে শেষ দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে ওয়ান্ডারার্সে চতুর্থ টেস্টে ডিমেরিট পয়েন্ট পেয়েছিলেন ব্রড। তার আগের অপরাধ ছিল ২০১৮ সালে ট্রেন্টব্রিজে ভারতের বিপক্ষে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।