বাবার লাশ উঠানে ফেলে রেখে সন্তানদের পেনশনের টাকা ভাগাভাগি
জুমবাংলা ডেস্ক: গত এক বছর ক্যানসার আক্রান্ত পদ্মা অয়েল কোম্পানির সাবেক কর্মকর্তা চট্টগ্রামের কর্ণফুলীর মনির আহমেদ (৬২) চিকিৎসাধীন অবস্থায় শনিবার (২৪ ডিসেম্বর) মারা যান।
সোমবার (২৬ ডিসেম্বর) সকাল পর্যন্ত দাফনের নসিব হয়নি মনির আহমদের। কারণ লাশ উঠানের এক কোনায় অ্যাম্বুলেন্সে ফেলে রেখে বাবার রিটার্নমেন্টের ৫০ লাখ টাকার ভাগাভাগিতে ব্যস্ত মনির আহমেদের তিন মেয়ে বেবি আক্তার, লিপি আক্তার জোছনা আক্তার এবং ছেলে জাহাঙ্গীর আলম। ভাগাভাগিতে যোগ দিতে ইতোমধ্যে দেশের উদ্দেশ্য রওনা হয়েছেন বিদেশ থাকা ছোটো ছেলে আলমগীর।
স্থানীয়রা জানান, শনিবার সন্ধ্যায় মনির আহমদ মারা যান। চাকরির অবসরের সময় কোম্পানি থেকে ৫০ লাখ টাকা পান তিনি। সে টাকা ভাগাভাগি না হওয়া পর্যন্ত লাশ দাফন করতে দেয়নি সন্তানেরা।
মৃতের বড় ছেলে জাহাঙ্গীর আলম অভিযোগ করে বলেন, বড় বোন বেবি আক্তার বাবা মনির আহমদের অসুস্থতার সুযোগে কৌশলে এবি ব্যাংক চাতরী আনোয়ারা শাখা থেকে ৩০ লাখ টাকা তুলে নেয়। তবে তিনি তা অস্বীকার করছে। এখন আমার ছোট ভাইও বিদেশ থেকে আসতেছে। তারপর দাফন হবে।
তবে অভিযুক্ত বেবি আক্তার বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, টাকার বিষয়ে আমি কিছু জানি না।
এ প্রসঙ্গে বড়উঠানের ইউপি চেয়ারম্যান দিদারুল আলম দিদার বলেন, আমি এ সম্পর্কে কিছুক্ষণ আগে শুনেছি একজন লোক মারা গেছে তার রেখে যাওয়া টাকার ভাগাভাগির জন্য লাশ দাফন করতে দিচ্ছে না। বিষয়টি আমি দেখছি।
কর্ণফুলী থানার ওসি দুলাল মাহমুদ বলেন, বড়উঠানে মনির আহমদ নামে এক ব্যক্তির মৃত্যুর পর ছেলেমেয়েদের মধ্যে টাকার ভাগাভাগি নিয়ে সমস্যা তৈরি হয়েছে। মৃত ৫০ লাখ টাকা থেকে এক মেয়ে ৩০ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে বলে জানা যায়। ওখানে মানুষের ভিড় বেড়ে যাওয়ায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।