জুমবাংলা ডেস্ক : মধু সংগ্রহের জন্য ছেলে সুন্দরবনে নিয়ে যান বাবা আজিজ মোল্লা। মধু ভাঙার সময় বাবার সামনে থেকে ছেলের ঘাড়ে কামড় দিয়ে জঙ্গলের গভীরে নিয়ে যায় সুন্দরবনের মানুষখেকো রয়েল বেঙ্গল টাইগার। অনেক চেষ্টা করেও ছেলে বাঁচাতে পারেননি অসহায় বাবা।
বুধবার সকালে সুন্দরবনের সাতক্ষীরা রেঞ্জের রায়মঙ্গল নদীর হোগলাডোরা খালের পাশে মানুষখেকো বাঘের হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন মৌয়াল হাবিবুর রহমান ওরফে হাফু মোল্লা(২৭)। গত ৩ এপ্রিল তিনি ও তার বাবা শ্যামনগরের মুন্সিগঞ্জের মীরগাং গ্রামের আজিজ মোল্লা কৈখালি ফরেস্ট স্টেশন থেকে পাস নিয়ে সুন্দরবনে মধু ভাংতে যান।
মৌয়ালরা জানান, সকালে মধু ভাঙার সময় একটি মানুষখেকো বাঘ অতর্কিতে হামলা চালায় হাফু মোল্লার ওপর। বাঘটি তার ঘাড়ে কামড় দিয়ে বিদ্যুৎবেগে টেনে হিঁচড়ে নিয়ে যায় জঙ্গলের মধ্যে। অসহায় বাবা আজিজ মোল্লা ও তাদের সঙ্গীরা লাঠিসোটা ও ধারালো অস্ত্র নিয়ে বাঘটিকে ধাওয়া করে। ততক্ষণে বাঘ অনেকদূর পৌঁছে হাফু মোল্লার ঘাড় ভেঙে রক্ত চুষে খাওয়া শুরু করে।
বাঘের সঙ্গে লড়াইয়ের আগেই হাফু মোল্লার জীবনবায়ু শেষ হয়ে যায়। পরে তার রক্তাক্ত লাশ নিয়ে আসা হয় বাড়িতে।
মুন্সিগঞ্জ ইউপি সদস্য আনারুল ইসলাম বলেন, হাফু মোল্লার মৃত্যুতে গ্রামজুড়ে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। তার বাবার সামনে থেকেই ছেলেকে বাঘ নিয়ে গেছে।
কৈখালি ফরেস্ট স্টেশন অফিসার মোবারক হোসেন জানান, হাফু ও তার বাবা গত ৩ এপ্রিল বনবিভাগের পাস নিয়ে সুন্দরবনে মধু ভাঙতে ঢুকেছিল।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।