আন্তর্জাতিক ডেস্ক : বাবার মৃ্ত্যুর পর কেটে গেছে অনেক দিন। হঠাৎ পুরনো জিনিসপত্র ঘাঁটতে গিয়ে ছেলের হাতে এলো গুপ্তধন। কী ভাবছেন সোনাদানা কিংবা মূল্যবান রত্ন? আরে না, ছেলে যে খুঁজে পেয়েছিল বাবার এক পাসবুক। সেখানেই ছিল তার কোটিপতি হওয়ার রাস্তা।
মানুষের ভাগ্য কখন পরিবর্তন হয় তা কেউ বলতে পারে না। কিছু মানুষ কঠোর পরিশ্রম করে জীবনের নতুন মোড় নিয়ে আসে। আবার কারোর বা ভাগ্য স্বয়ংক্রিয়ভাবে উজ্জ্বল হয়ে যায়। ঠিক যেমনটা হয়েছিল এক ব্যক্তির সঙ্গে। যার বাবার মৃত্যুর পরই বদলে যায় ভাগ্য। রাতারাতি তিনি যেন পেয়ে যান লটারি জেতার টিকিট। সেই টিকিট আর কিছুই নয়। তার বাবার ৬০ বছরের পুরনো এক পাসবুক। হ্যাঁ, ঠিকই শুনছেন বাস্তবেই এক ব্যক্তির বাবার পাসবুকই তাকে করেছে কোটিপতি। নেটদুনিয়ায় সেই ঘটনা নিয়েই শুরু হয়েছে আলোচনা।
ঘটনাটি ঘটে দক্ষিণ আমেরিকার চিলির বাসিন্দা এক্সেকুইল হিনোজোসার সঙ্গে। যিনি তার বাবার মৃত্যুর পর বাড়ি পরিষ্কার করতে গিয়ে খুঁজে পান বেশ কিছু বাতিল জিনিসপত্র। হাত পড়ে বাবার ৬০ বছরের পুরনো একটি পাসবুকেও। সংশ্লিষ্ট ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের কথা তার বাবা ছাড়া আর কেউ জানতেন না। ঠিক কী ছিল সেই পাসবুকে? আসলে এক্সেকুইলের বাবা বাড়ি কেনার জন্য ১৯৬০-৭০ সাল নাগাদ একটি ব্যাঙ্কে চিলির মুদ্রায় প্রায় ১.৪০ লাখ পেসো জমা করেছিলেন। যার বর্তমান মূল্য ১৬৩ ডলার।
বাবার অজানা এই ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের কথা জানতে পেরে স্বাভাবিকভাবেই খুশি হয় এক্সেকুইল। কিন্তু ওই ব্যাঙ্কটি অনেকদিন আগেই বন্ধ হয়ে গেছে। তাই টাকা আর পাওয়া যাবে না বলেই ধরে নিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু হঠাৎই তিনি দেখতে পান যে পাসবুকের উপর লেখা রয়েছে ‘স্টেট গ্যারান্টিড’। অর্থাৎ ব্যাঙ্ক ব্যর্থ হলে সরকার দেবে টাকা। বর্তমান সরকার সেই টাকা দিতে অস্বীকার করে। কোনও উপায় না দেখে শেষ পর্যন্ত শুরু হয় তার আইনি লড়াই।
দীর্ঘ শুনানির পর ওই টাকা ফেরত দেওয়ার নির্দেশ দেয় আদালত। সুদ ও মহার্ঘ্য ভাতা সহ এক্সেকুইলের বাবার জমানো টাকা বর্তমানে দাঁড়িয়েছে 1 বিলিয়ন পেসো। এই সমগ্র পরিমাণ টাকাই সরকারকে ফেরত দিতে নির্দেশ দিয়েছে আদালত। যদিও নিম্ন আদালতের সিদ্ধান্তকে যদিও মেনে নেয়নি দেশটির সরকার।
এ ব্যাপারে সর্বোচ্চ আদালতে চ্যালেঞ্জ করেছে সরকার। নিম্ন আদালতের রায় বহাল থাকলে এক্সেকুইল বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ১০ কোটি টাকা পেতে চলেছে তা নিশ্চিত।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।