জুমবাংলা ডেস্ক : কিশোরীকে ধর্ষণের ঘটনায় চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে কক্সবাজারে। কিশোরী বাবার কাছে পূর্বপরিচিত এক ব্যক্তি ধারের টাকা পান। টাকা দিতে না পারায় কিশোরীকে তুলে নিয়ে দেড় মাস আটকে রেখে গণধর্ষণ করা হয়।
র্যাব জানায়, কক্সবাজার সদর এলাকায় ওই কিশোরীর (১৫) বাবা অটোরিকশা চালান। পূর্বপরিচিত এক ব্যক্তি তার কাছে ৩৫ হাজার টাকা পান। এ টাকা তিনি দিতে না পারায় তার মেয়েকে জোর করে তুলে নিয়ে দেড় মাস আটকে রেখে গণধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ উঠেছে।
মেয়েটির মা বিষয়টি র্যাবকে জানালে শুক্রবার কক্সবাজার থেকে কিশোরীকে উদ্ধার করে র্যাব-৭। গ্রেপ্তার করা হয় এ ঘটনায় মূল অভিযুক্ত মো. শাহাবুদ্দিনসহ (২৮), আরমান হোসেন (২৭), নুরুল আলম (৩৮) ও লোকমান হাকিমকে (৩৪)। তারা সবাই ওই কিশোরীকে ধর্ষণ করেছেন বলে জানায় র্যাব। তাদের সবার বাড়ি কক্সবাজার সদরে।
অভিযান পরিচালনাকারী র্যাব-৭ চট্টগ্রামের সহকারী পরিচালক মাশকুর রহমান গণমাধ্যমকে বলেন, গত ১ সেপ্টেম্বর মেয়েটিকে তুলে নিয়ে যান শাহাবুদ্দিন। পরে তাকে কক্সবাজার ও চট্টগ্রামের বিভিন্ন জায়গায় আটকে রেখে ধর্ষণ করা হয়।
এদিকে রাঙামাটিতে ধর্ষণের অভিযোগে আওয়ামী লীগের এক নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ওই নেতার নাম মো. আলমগীর।
শুক্রবার (১৬ অক্টোবর) বিকেলে শহরের রাজবাড়ি এলাকার একটি আবাসিক হোটেল থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। দীর্ঘ দিন ধরে এক নারীকে ভয় দেখিয়ে তিনি ধর্ষণ করে আসছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। গ্রেপ্তার হওয়া আওয়ামী লীগ নেতা মো. আলমগীর বরকল উপজেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য।
কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কবির হোসেন বলেন, ‘আমরা গোপন তথ্যের ভিত্তিতে আবাসিক হোটেলে অভিযান পরিচালনা করি। এ বিষয়ে মামলা প্রস্তুতি চলছে।’
এ নিয়ে শুক্রবার সারা দেশের আট জেলায় ৯ জনকে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা হয়েছে। ধর্ষণের শিকার শিশু ও কিশোরীদের বয়স ১০ থেকে ১৬-এর মধ্যে। এসব ঘটনায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে ১৪ জনকে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।