জুমবাংলা ডেস্ক: একমাত্র মেয়ে। কথা ছিল কয়েক দিন মজুরের কাজ করে সেই টাকায় পূজোয় মেয়েকে নতুন জামা কিনে দেবেন। অভাবে এবার পরিবারের অন্য সদস্যদের তেমন নতুন কাপড় কেনা হবে না। দিনমজুরের কাজ করে দৈনিক যা আয় হয় তা দিয়ে স্ত্রী, সন্তান আর মায়ের মুখে দু’বেলা দু’মুঠো ভাত তুলে দিতেই হিমশিম খেতে হতো তাকে।
কিন্তু ছোট এই ইচ্ছেটুকুও পূরণ করে যেতে পারলেন না সেন্টু বর্মন। নৌকাডুবির দুই দিন পর মঙ্গলবার (২৭ সেপ্টেম্বর) তার মরদেহ পাওয়া যায়। পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তিটিকে হারিয়েছে দিশাহারা পরিবারটি।
সেন্টু বর্মনের বাড়ি পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলার মাড়েয়া বামনহাট ইউনিয়নের বটতলী এলাকায়। সংসারে রয়েছে মা পার্বতী বেওয়া, স্ত্রী ভৈরবী রানী ও এক বছরের মেয়ে জ্যোতি। জন্মের ১২ বছরের মাথায় বাবা নরেশ বর্মনকে হারান সেন্টু। তারপর মাকে নিয়ে শুরু কষ্টের জীবন। দুই বছর আগে বিয়ে করেন। মজুরের কাজ করেই চলছিল তার সংসার। বাঁশের বেড়া আর টিনের ছাউনির ঘরে চলছিল টানাপড়েনের সংসার। তার মৃত্যুতে এখন পরিবারটিকে দেখার কেউ নেই।
সেন্টুর স্ত্রী ভৈরবী বলেন, ‘আমি কথা বলার ভাষা হারিয়ে ফেলেছি। অভাবের কারণে পুজোয় আমাদের কেনাকাটা হয়নি। মেয়েকে নতুন কাপড় কিনে দিয়ে চেয়েছিল। এখন মানুষটিই আর নেই। ’
সেন্টুর মা পার্বতী বেওয়া বলেন, ‘আমার মাথার ছাদ চলে গেছে। এখন আমাদের দেখবে এমন একটা মানুষ নেই। আমার বউমা আর নাতির দিকে তাকাতেই পারছি না। আমার দুঃখ শেষ হবে না। ’
‘লাখ টাকায় দৈনিক মুনাফা ৫ হাজার’, যেভাবে কোটি টাকার প্রতারণা
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।