জুমবাংলা ডেস্ক : বগুড়ায় মহাসড়কে প্রকাশ্যে খুন হওয়া ‘বাবা হুজুর’ নামে পরিচিত স্থানীয় একটি কওমি মাদ্রাসার পরিচালক মোজাফফর রহমান ঝাড়ফুঁক, তাবিজ-কবজসহ নানা কবিরাজি চিকিৎসা করতেন।
প্রেম-বিয়ে, সম্পত্তি নিয়ে মামলা, স্বামী-স্ত্রীতে অমিল- এসব নানা সমস্যা নিয়ে মানুষ তার কাছে যেতেন। এমনকি আইপিএল নিয়ে স্থানীয় যেসব যুবক জুয়া খেলতেন তারাও ‘বাবা হুজুর’র কাছে আসতেন। কোন দিনের খেলায় কোন দল জিতবে সে সম্পর্কে তিনি ‘তদবির’ করতেন। মোজাফফর রহমানের প্রতিষ্ঠিত আল জামিয়া আল আরাবিয়া দারুল হেদায়া কওমি হাফেজিয়া মাদ্রাসা এলাকার একাধিক ব্যক্তির সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে।
এদিকে মোজাফফর রহমান হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের এখনও শনাক্ত বা গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ। ওই ঘটনায় নিহত মোজাফফরের ভাই সাইফুল ইসলাম বগুড়ার শাজাহানপুর থানায় একটি মামলা করলেও আসামি হিসেবে কারও নাম উল্লেখ করেননি।
বগুড়ায় পুলিশের মিডিয়া বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ফয়সাল মাহমুদ বলেছেন, মোজাফফর রহমান হত্যা পরিকল্পিত এটা তারা নিশ্চিত হয়েছেন। কিন্তু কী কারণে হত্যা করা হয়েছে সে সম্পর্কে এখনও কোনো তথ্য পাননি। তিনি বলেন, মোজাফফর রহমান কবিরাজি অর্থাৎ ঝাড়ফুঁক ও তাবিজ-কবজ করতেন। তার অনেক জমিজমাও রয়েছে। হত্যাকাণ্ডের পেছনে এসবের কোনো যোগসূত্র রয়েছে কিনা সেগুলো খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
শাজাহানপুর থানার ওসি আব্দুল্লা আল মামুন বলেন, মোজাফফর হত্যাকাণ্ডের মোটিভ জানার জন্য তারা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। নিহতের ভাই যে মামলা করেছেন সেখানে কারও নাম উল্লেখ করা হয়নি। আইপিএলের জুয়াড়িদের বিষয়ে তিনি বলেন, সব দিক মাথায় রেখেই তদন্ত চলছে। আশা করছি খুব তাড়াতাড়ি হত্যার কারণ ও জড়িতদের গ্রেপ্তার করা সম্ভব হবে।
নাটোরের সিংড়া থেকে মঙ্গলবার সকালে সিএনজিচালিত অটোরিকশায় বগুড়া ফিরছিলেন মোজাফফর রহমান। ওই অটোরিকশায় তিনি ছাড়াও আরও চার যাত্রী ছিলেন। সকাল পৌনে ১০টার দিকে তাদের বহনকারী অটোরিকশা বগুড়ার শাজাহানপুর উপজেলার বীরগ্রাম এলাকায় পৌঁছুলে মোটরসাইকেলে করে দু’জন সন্ত্রাসী এসে তাকে গুলি করে পালিয়ে যায়। স্থানীয়রা মোজাফফরকে উদ্ধার করে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে নেওয়ার পর তার মৃত্যু হয়।
মোজাফফর দীর্ঘদিন ধরে বগুড়া শহরের নিশিন্দারা কারবালা এলাকায় একটি বাসায় দ্বিতীয় স্ত্রীকে নিয়ে বসবাস করতেন। তার প্রথম স্ত্রী থাকেন নাটোরের সিংড়া উপজেলার সুকাশ গ্রামে। ২০১৪ সালে মোজাফফর নিশিন্দরা এলাকায় একটি কওমি মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা করেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।