জুমবাংলা ডেস্ক: বাংলাদেশে ইসলামী জঙ্গির বিরুদ্ধে অপারেশনে সবচেয়ে সফল যে পুলিশ অফিসার, তাঁর নাম বাবুল আক্তার। তাঁর প্রতিভা, তীক্ষ্ণ বুদ্ধি, বিচক্ষণতার পুরস্কারও তিনি পেয়েছেন, পদোন্নতি এবং পদোন্নতি। জানি না এই বাবুল আক্তারের বুদ্ধি কী করে মস্তিষ্ক থেকে উড়ে গিয়েছিল, যখন তিনি ভাড়াটে খুনি দিয়ে তাঁর স্ত্রীকে খুন করানোর পরিকল্পনা করেছিলেন। বুদ্ধিরও পাখা থাকে।
তাঁর স্ত্রী মিতু যখন ছেলেকে স্কুলে পৌঁছে দিতে বাসস্ট্যান্ডের দিকে যাবে, তখনই চৌরাস্তার মোড়ে তাঁকে খুন করা হবে। এই ছক মেনেই খুনিরা মিতুকে নৃশংসভাবে খুন করেছে। বাবুল আক্তার ভেবেছিলেন, তিনি পার পেয়ে যাবেন, কারণ মানুষ ভেবে নেবে, যেহেতু তিনি জঙ্গি মেরেছেন, তাই জঙ্গিরা তাঁর স্ত্রীকে মেরে তাঁর প্রতিশোধ নিয়েছে। তাঁর দুই সন্তান। দুই সন্তানের এক সন্তান নিজের মা’কে চোখের সামনে খুন হতে দেখবে, তা জেনেও বাবুল আক্তার খুনটি করিয়েছিলেন। স্বামী হিসেবে তিনি অযোগ্য, পিতা হিসেবেও।
সংসারে দীর্ঘদিন অশান্তি। স্ত্রীকে তুমি ভালোবাসো না। স্ত্রীর চেহারা তোমার দেখতে ইচ্ছা করে না। কখনো দুজনের মধ্যে সুসম্পর্ক ফিরে আসবে বলে তুমি বিশ্বাসও করো না। এই অবস্থায় যে কাজটি করতে হয়, তা হলো স্ত্রীকে তালাক দেওয়া, স্ত্রীকে মেরে ফেলা নয়। বাবুল আক্তারের মতো মানুষ কেন এই সহজ সমাধানটি গ্রহণ করলেন না, বরং এমন এক সমাধান বেছে নিলেন, যে সমাধানে তাঁর ধরা পড়ার, এবং ফাঁসি বা যাবজ্জীবন হওয়ার ঝুঁকি থেকে যায় । ওই যে বললাম না বুদ্ধিরও পাখা থাকে, কখন যে উড়ে যায় টেরই পাওয়া যায় না।
কিছু সত্য তথ্য সবারই জানা উচিত। মেয়েদের সবচেয়ে বেশি ধর্ষণ কারা করে? স্বামী বা প্রেমিক। মেয়েদের সবচেয়ে বেশি শারীরিক এবং মানসিক নির্যাতন কারা করে? স্বামী বা প্রেমিক। মেয়েদের সবচেয়ে বেশি খুন কারা করে? স্বামী বা প্রেমিক।
-তসলিমা নাসরিনের ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডি থেকে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।