জুমবাংলা ডেস্ক: এ বছর মানিকগঞ্জের ঘিওরে ভুট্টার বাম্পার ফলন হয়েছে। দেশীয় জাতের পাশাপাশি হাইব্রিড বা উচ্চ ফলনশীল ভুট্টার ব্যাপকভাবে আবাদ করা হচ্ছে। অল্প খরচে অধিক মুনাফা এবং অন্যান্য ফসলের তুলনায় লাভজনক হওয়ায় ভুট্টা আবাদে ঝুঁকেছেন কৃষক। তবে এবার ভালো দাম না পাওয়ায় চাষির মুখে হাসি নেই।
উপজেলার সাত ইউনিয়নেই ভুট্টার আবাদ হয়েছে। বর্তমানে কৃষক ভুট্টা সংগ্রহে ব্যস্ত সময় পার করছেন। ইতোমধ্যে বাইলজুরি, চরবাইলজুরি, পয়লা, সিংজুরি, মাইলাগী, বৈলট, কুশুন্ডা, বানিয়াজুরী, কেল্লাই, উত্তর তরা, নকীববাড়ী, নালী এলাকায় ব্যাপক ভুট্টার আবাদ হয়েছে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, গাছে ঝুলছে হলুদ রঙের ভুট্টার মোচা। ইতোমধ্যে চলছে মোচা কেটে নেওয়ার কাজ। কৃষক মাঠ থেকে ভুট্টা কেটে বাড়িতে নিয়ে যাচ্ছেন। কেউ বা সেগুলো মাড়াইয়ের কাজ করছেন।
উপজেলা কৃষি অফিস জানায়, উপজেলায় এ বছর এক হাজার ৬২০ হেক্টর জমিতে ভুট্টা আবাদ হয়েছে। সরকার ভুট্টা আবাদে আগ্রহ সৃষ্টি করতে কৃষকদের বিনা মূল্যে বীজ ও সার দিয়েছে। রোগবালাই এবং উত্পাদন খরচ কম হওয়ায় দিন দিন বাড়ছে ভুট্টার আবাদ।
উপজেলার কাশেমপুর গ্রামের কৃষক নূরু মিয়া বলেন, ৪০ শতক জায়গায় ধানের পরিবর্তে প্রথম ভুট্টা আবাদ করেছেন। এ চাষে বীজ ও সার বিনা মূল্যে সরকার থেকে পেয়েছেন। ফলন ভালো হলেও এবার দাম অনেক কম। পাইকাররা ৮০০ টাকা মণ দাম করেছে। কম দাম হওয়ায় ভুট্টা বাড়িতেই রেখে দিয়েছেন। পরে দাম বাড়লে বিক্রি করবো।
ঘিওর সদর ইউনিয়নের রাধাকান্তপুর গ্রামের কৃষক আব্দুল মুন্নাফ জানান, তিন বিঘা জমিতে ভুট্টা আবাদ করেছেন তিনি। সব মিলিয়ে ৩৫ হাজার টাকার মতো খরচ হয়েছে। চলতি মৌসুমে ৬৫ মণের ওপরে ভুট্টা তুলেছেন। রোদে শুকানোর পর মণ প্রতি ৯০০ টাকা দরে পাইকারি বিক্রি করেছেন। অথচ গত বছর বিক্রি করেছিলেন এক হাজার ২৫০ টাকা মণ দরে।
বানিয়াজুরী এলাকার পাইকারি ব্যবসায়ী মো. মজনু মিয়া জানান, প্রতি বুধবার জেলার বৃহত্তম ঘিওর হাটে তিনি প্রায় ৬০ মণ ভুট্টা কিনে থাকেন। বর্তমানে মানভেদে ৮০০ থেকে ৯০০ টাকা মণ দরে ভুট্টা কেনা বেচা হচ্ছে। তবে এবার আবাদ বেশি হওয়ায় হাটে শত শত মণ ভুট্টা আনছেন কৃষকরা। আগামীতে দাম একটু কমার সম্ভাবনা রয়েছে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. মাজেদুল ইসলাম জানান, লাভজনক হওয়ায় ভুট্টা চাষাবাদ বেড়েছে। কৃষকদের মধ্যে সরকারিভাবে উন্নতমানের ভুট্টার বীজ ও সার বিনা মূল্যে দেওয়া হয়েছে। এ মৌসুমে এক হাজার ৬১০ হেক্টর জমিতে ভুট্টা চাষের লক্ষ্যমাত্রা ছিল। কিন্তু আবাদ হয়েছে এক হাজার ৬২০ হেক্টর জমিতে।
তিনি জানান, এ অঞ্চলে যুবরাজ, এন এইচ, এন কে ৭৮৮৪, পাইওনিয়ার, প্যাসিফিক, সানসাইন, মিরাকেল, জাতের ভুট্টা বেশি চাষ হয়েছে।
প্রতি গাছে দেড়-দুই মণ ফল: ইউটিউব দেখে সবজির বদলে আঙুর চাষ, সাত মাসেই চমক
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।