স্পোর্টস ডেস্ক : বাংলাদেশের শ্রীলঙ্কা সফরের আর ২ সপ্তাহও বাকি নেই। এই অল্প সময়ের মধ্যে সব দাবি মিটিয়ে নতুন কোচ আনা খুব একটা সহজ নয়। তাই গুঞ্জন ভাসছে, কোচ হতে পারেন দলের ম্যানেজার খালেদ মাহমুদ সুজন। কিন্তু তিনি জানিয়েছেন, বারবার এভাবে অস্থায়ী কোচ হতে চান না।
বিশ্বকাপের মাঝপথেই শোনা গিয়েছিল স্টিভ রোডসের বিদায়ের ঘণ্টা। সেই গুঞ্জন সত্যে পরিণত হয় গত সোমবার (৮ জুলাই) বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) থেকে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসলে। দলের ফলাফল দেখলে বিশ্বকাপের আগে পর্যন্ত রোডস মোটামুটি সফল ছিলেন।
কোচের এমন হঠাৎ চাকরিচ্যুতি নিয়ে দলের ম্যানেজার সুজনের কাছে প্রশ্ন করা হলে তিনি কোচিং নিয়ে কথা বলতে রাজি হননি, ‘আমি পুরো দলের ম্যানেজার। দল নির্বাচন যখন আমরা করি তখন চেষ্টা করি সেরা খেলোয়াড়টি বাছাই করতে। এরপর কোচিং বিভাগের কাজ।
১৫ জনের স্কোয়াড যায়, তখন কোচরা প্ল্যান করে যে কোন একাদশ খেলবে, কে খেলবে না বা কাকে কোন দায়িত্ব দেওয়া হবে।’ এরই মধ্যে চূড়ান্ত হয়ে গেছে বাংলাদেশের পরবর্তী সিরিজও। কোচবিহিন তো আর শ্রীলঙ্কায় যাবে না টাইগাররা! এরকম দুঃসময়ে বাংলাদেশ আগেও পড়েছে। তখন সুজনকে দেয়া হয়েছে অস্থায়ী কোচের দায়িত্ব।
তবে বারবার দায়িত্ব নিতে নিজের অনীহার কথা জানান তিনি, ‘এ নিয়ে আমাকেও চিন্তা করতে হবে। বারবার এক সিরিজের জন্য অন্তর্বর্তীকালীন দায়িত্ব নিতে চাই না। সেটা আমার জন্য ঠিক হবে না।’ তবে বোর্ড এই বিষয়ে কিছু ভাবলে সেটা পরে চিন্তা করে দেখবেন।
তার ভাষায়, ‘আমি জানি না কি হবে। তবে কোচিং যেহেতু আমার একটি পেশা, আমি সব সময় প্রস্তুত থাকি। বোর্ড একবার আমাকে দায়িত্ব দিয়েছিল। আমি আবারও অস্থায়ী পদে কাজ করব কি না এটাও একটা কথা। বোর্ডও আমাকে সেভাবে চিন্তা করবে কি না এটাও একটা কথা।’
ইতোমধ্যে বিসিবি ভালো কোচ আনার কাজ শুরু করে দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন সুজন। তিনি বলেন, ‘আমরা সঠিক সময়ে কোচ পেয়ে যাব আশা করছি। ভালো কোচ আনার চেষ্টা করছে বিসিবি থেকে। আমি বিশ্বাস করি বিশ্বকাপ শেষে অনেক কোচের চুক্তি শেষ হবে। আমরা যদি স্বল্প সময়ের মধ্যে এটা করতে পারি তাহলে ভালো কোচ আসতে পারে।’
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।