লাইফস্টাইল ডেস্ক : গরম পড়লেই অনেকে শিশুদের চুল টাক করে দেন। এতে শিশুরা গরমের অস্বস্তি থেকে সাময়িক মুক্তি পায়। তবে অনেকের ধারণা, বার বার চুল টাক করলেই পাশাপাশি অনেকের ধারণা বারবার চুল টাক করে দিলে শিশুদের মাথাভর্তি ঘন চুল হবে। কিন্তু আদৌ কি এর কোনো বৈজ্ঞানিক আছে?
চুলের যত্নে এমন অনেক প্রচলিত ধারণা রয়েছে, যার কোনও বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা নেই বললেই চলে। অথচ, বছরের পর বছর অনেকেই সে সব মেনে চলছে। এছাড়াও আরও যেসব প্রচলিত ধারণা রয়েছে-
১. বারবার চুল ফেলে দিলে চুল ঘন হয়—এর কোনও বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা নেই। মাথার ত্বকে থাকা ফলিকল থেকে নতুন চুল গজায়। এই ফলিকল স্ক্যাল্প থেকে কয়েক মিলিমিটার নীচে থাকে। এ কারণে টাকা হলেও এই ফলিকলের উপর কোনও প্রভাব পড়ে না।
২. অনেকে মনে করেন, একটা পাকা চুল ছিঁড়লে মাথা পাকা চুলে ভরে যাবে। এটা ঠিক নয়। মূলত চুলে মেলানিনের মাত্রা কমে গেলে তা ধূসর হতে শুরু করে। এজন্য যে পাকা চুলটা ছিঁড়ুন না কে, সেটা পরবর্তী সময়েও ধূসরই হবে। তাছাড়া প্রতিটা চুলের নিজস্ব ফলিকল রয়েছে। একটা পাকা চুল ছিঁড়লে চুল বেড়ে যাওয়ার কোনও সম্ভাবনা নেই।
৩. অনেক ভাবেন, তিন-চার মাস পর পর চুল কাটলে চুল দ্রুত বাড়ে। এ ধারণাও ঠিক নয়। চুল গোড়া থেকে বাড়ে। এ কারণে চুল কাটলেন কিংবা কাটলেন না, তাতে চুলের বৃদ্ধির উপর প্রভাব পড়ে না। বরং কয়েক মাস পর পর চুল কাটলে চুলের শেপ ঠিক থাকে। এর পাশাপাশি চুলের ডগা ফেটে যাওয়ার সমস্যা এড়ানো যায়।
৪. তেল মাখলে চুল দ্রুত বাড়ে- এই ধারণাও পুরোপুরি ঠিক নয়। তেল মাখলে মাথার ত্বকে রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি পায়। এতে চুলের ফলিকলগুলো পুষ্টি ও অক্সিজেন পায়। এতে চুলের গোড়া মুজবত হয়। কিন্তু এতে চুল দ্রুত বাড়ে না। বরং, তেল মাখলে গোড়ায় ময়লা জমে। এতে স্ক্যাল্পের সমস্যা বাড়তে পারে। এ কারণে তেল মাখার ঘণ্টাখানেক পর শ্যাম্পু করে নিন।
৫. তৈলাক্ত চুলে কন্ডিশনার ব্যবহার করা উচিত নয়—এ ধারণাও ঠিক নয়। চুল যেমনই হোক, শ্যাম্পু করার পর কন্ডিশনার ব্যবহার করা উচিত। কন্ডিশনার চুলকে দূষণ, ইউভি রশ্মি ও ক্ষয়ের হাত থেকে রক্ষা করে। চুলের ফ্রিজিনেস দূর করতেও সাহায্য করে কন্ডিশনার।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।