বার্ধক্যে উপনীত পরিণত হওয়ার বিষয়টি জটিল প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে সামনে এগিয়ে যায়। আমাদের শরীরের বিভিন্ন সেলুলার প্রক্রিয়ার ভাঙ্গনের সঙ্গে বিষয়টি জড়িত। কেন এবং কীভাবে আমাদের বয়স হয় ও পাশাপাশি সেই সাথে বার্ধক্যে উপনীত হওয়ার প্রক্রিয়াকে ভিড় করা যায় কিনা সে জন্য বিজ্ঞানীরা গবেষণা চালিয়ে যাচ্ছে।
নেচার জার্নালে সাম্প্রতিক সময়ে প্রকাশিত একটি গবেষণায় দেখা যায় যে, ট্রান্সক্রিপশন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে আমাদের জেনেটিক উপাদান প্রোটিনে পরিণত হয়। ট্রান্সক্রিপশন প্রক্রিয়া দ্রুত গতিতে এগোলে ত্রুটির মতো ঘটনা ঘটতে পারে।
গবেষণায় দেখা গেছে যে, ট্রান্সক্রিপশন প্রক্রিয়াকে ধীর করা সম্ভব হলে আয়ু বৃদ্ধি পেতে পারে। পাশাপাশি কোষের বিভাজন এবং বৃদ্ধির ক্ষমতা ডেভেলপ করা সম্ভব হতে পারে। ট্রান্সক্রিপশন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ডিএনএকে আরএনএ-তে পরিণত করা হয়।
পরবর্তী সময়ে এটি প্রোটিনে রূপান্তরিত হয়। আমাদের বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে এ প্রক্রিয়ার হ্রাস ঘটে থাকে। গবেষকরা নমুনা হিসেবে কৃমি, মাছি, ইঁদুর, মানুষের কোষ সংগ্রহ করেছেন এবং পরীক্ষা করে দেখেছেন।
ট্রান্সক্রিপশন প্রক্রিয়ার জন্য দায়ী হচ্ছে প্রোটিন। স্যাম্পল হিসেবে নেওয়া টিস্যু থেকে প্রাপ্ত ডাটা অনুযায়ী বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ট্রান্সক্রিপশন প্রক্রিয়ার গতি কমে যায়।
তবে যদি ট্রান্সক্রিপশন প্রক্রিয়ার গতি স্বাভাবিকের থেকে বেশি বৃদ্ধি পায় তাহলে ত্রুটির মতো ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা থাকে। তখন প্রাণীর লাইফ-স্প্যানে নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে। গবেষকরা ট্রান্সক্রিপশন প্রক্রিয়া বের করার কিছু উপায় খুঁজে বের করেছেন।
কৃমি, মাছি, এবং ইঁদরের ক্ষেত্রে জিনগতভাবে ইনসুলিন-সেন্সিং এর পথকে ব্যাহত করার মাধ্যমে এটি করা সম্ভব হবে। অন্যদিকে প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ এবং ইঁদুরের ক্ষেত্রে পোল-টু এর গতি কমিয়ে দিতে হবে। ভবিষ্যতে মানুষের বুড়িয়ে যাওয়ার গতি কমিয়ে আনতে এ গবেষণাটি সহযোগিতা করবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।