লাইফস্টাইল ডেস্ক : ন্যাশানাল স্লিপ ফাউন্ডেশন অনুসারে, ঘুমের সময় মাথার একটি নিরপেক্ষ অবস্থান হওয়া উচিত। সম্পূর্ণভাবে কাঁধের উপর কিংবা খুব বেশি ঘাড় পিছনে দিয়ে ঘুমনো ঠিক নয়। আবার মাথার একদম সামনে বালিশ রেখে ঘুমোলেও যে শান্তির ঘুম হবে তাও কিন্তু নয়। কারণ ঘুমের উপর প্রভাব ফেলে বালিশ। কেউ ঘুমনোর সময় দুখানা বালিশ ব্যবহার করেন আবার কেউ চারখানা। পিঠের নীচে, পায়ের পাশে একাধিক দিকে বালিশ থাকে। এতে ঘাড়, মাথা সব সময় সোজা থাকে না। অনেকক্ষেত্রেই তা তীর্যক ভঙ্গিমায় থাকে। আর তাই বালিশ ছাড়া ঘুমনোর অভ্যাকস করতে পারলেই সবচাইতে ভাল। আর নিতান্তই যদি বালিশ ব্যবহার করতে হয় তাহলে একবারে পাতলা বালিশ ব্যবহার করুন। বালিশ ছাড়া ঘুমোলে যে সব উপকারিতা পাবেন…
ঘাড়ে এবং পিঠে কোনও ব্যথা থাকবে না
আজকাল ঘাড় আর পিঠের ব্যথা সকলেরই রয়েছে। এক্ষেত্রে যদি বালিশ ছাড়া ঘুমনো যায় তাহলে সেই সব ব্যথা থেকে সহজেই আরাম পাওয়া যায়। ঘুমনোর সময় মেরুদণ্ড সোজা থাকে, ফলে দিনের বেলায় অযথা ব্যথা থাকে না। আর তাই খুব পাতলা বালিশ ব্যবহার করতে বলা হয়। যা ব্যথা কমানোর ক্ষেত্রে উপকারী।
ত্বক কুঁচকে যায় না
ঘুমের সময় বালিশ ব্যবহার করলে ত্বক কুঁচকে যাওয়ার সম্ভাবনা থেকে যায়। বিশেষ করে যাঁরা বাঁ দিকে ঘেঁষে ঘুমোন বালিশের। এতে বলিরেখা পড়ে, বার্ধক্য অনেক তাড়াতাড়ি আসে। কিন্তু বালিশ ছাড়া ঘুমোলে এই সব সমস্যা হয় না। সঙ্গে দেখতেও লাগে তরতাজা।
অনিদ্রার সমস্যা দূর করে
বালিশ নিয়ে খুব ভালো ঘুম হয় না। যাঁদের অনিদ্রার সমস্যা রয়েছে, ঘুম ঠিকমতো হয় না তাঁরা বালিশ ছাড়াই ঘুমনো অভ্যাস করুন। এতে ঘুম যেমন ঠিকমতো হবে তেমনই মাঝরাতে ঘুম ভেঙে যাবে না। শরীরও থাকবে ভাল।
মানসিক চাপ কমবে
অধিকাংশক্ষেত্রেই ভুল বালিশের ব্যবহার এবং ভুল দিকে শোওয়ার ফলে ঘুমের ব্যাঘাত ঘটে। কারণ ঘুমের মধ্যে ঘন ঘন অবস্থার পরিবর্তন হয়। এবার রাতের ঘুম ভাল না হলে সারাদিন মেজাজ খিটখিটে হয়ে থাকে। এতে মানসিক চাপ বাড়ে। তাই বালিশ ছাড়াই ঘুমনোর চেষ্টা করতে হবে। এতে ঘুম ভাল হবে। পাশাপাশি ঘুমের গুণমান উন্নত হলে স্ট্রেসও কমে যাবে অনেকটাই।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।