কেউ যদি বলে যে অজানা-অচেনা একটা লোকের সঙ্গে এক বিছানায় আপনাকে রাত কাটাতে হবে! কী, অস্বস্তি লাগবে না আপনার? কিন্তু ভাবুনতো শুধু রাত কাটানোই নয়, একটা সময় ছিল যখন সম্পূর্ণ অচেনা একজন মানুষের সঙ্গে বিয়ে দেওয়া হত আপনারই বয়সের কোনো মেয়ে বা মহিলাকে৷ সেই সম্পূর্ণ ধাঁধাময় মানুষটির সঙ্গে বিয়ের রাতে আবার মিলনও ঘটতো!
কিন্তু বর্তমানে সময় অনেক পাল্টে গিয়েছে, অ্যারেঞ্জ ম্যারেজের ফাঁদ থেকে মেয়েরা আজ অনেকটাই মুক্ত৷ কিন্তু তবু আজও আমাদের এই সমাজেই অনেক উঁচু-নীচু জাতপাতের বাঁধাধরা ছক আছে যেখানে আজও মনে করা হয় যে, ১৮ বছর মানেই একটি মেয়ের বিয়ের বয়স হয়ে গিয়েছে৷ ফলে দাও তাকে বাপের কাকার বয়সী একজনের সঙ্গে বিয়ে দিয়ে৷ আর যদি পাত্র সরকারি চাকুরে হয় তবে তো কথাই নেই৷
কিন্তু এ সবকিছুর ঊর্ধ্বে যে কথাটা বলার জন্য এত ভূমিকা টানা হলো সে বিষয়ে আপনি কী আঁচ করতে পারছেন। তা হল কতজন ভারতীর নবদম্পতি বিয়ের রাতেই মিলিত হন?
সমীক্ষা বলছে, ৬৩ শতাংশ ভারতীয় দম্পতি যারা অ্যারেঞ্জ ম্যারেজ করেন তাঁরা বিয়ের রাতেই যৌন সংগমে লিপ্ত হন৷ কিন্তু অবাক হবেন এটা জেনে যে, সেই দম্পতিদের মধ্যে বেশির ভাগই বিয়ের আগে পরস্পরকে চেনেন না৷ কোনও কোনও ক্ষেত্রে বিয়ের মণ্ডপেই হয় প্রথম দেখা৷
তবে ‘বিয়ের প্রথম রাতেই ছক্কা হাঁকানো’ কী ভুল৷ সমীক্ষকরা বলছেন, সবার জন্য অবশ্যই ভুল নয়৷ তবে এটা ভুল হতে পারে দু’ধরনের মানুষদের জন্য, এক যাদের সেক্স সম্পর্কে কোনও প্রকারের ধারণা নেই৷ দুই, যারা বিপরীত লিঙ্গের মানুষটির কাছে বেশি কিছু আশা করেননা৷
তাঁরা আরও জানিয়েছেন, বিয়েকে কোনও মতেই হালকা ভাবে নেওয়া উচিত নয়৷ কারণ এই প্রক্রিয়াতে আপনি কেবল শারীরিকভাবেই কোনও একজনের সঙ্গে মিলিত হচ্ছেন না, মানসিক মিলনও ঘটছে৷ শরীর না একটা মাধ্যম মাত্র, যার সঙ্গে যোগ থাকে মনের৷ – এএসএমওয়াই
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।