বিনোদন ডেস্ক: হিরো আলম এখন বাংলাদেশের আলোচিত-সমালোচিত একটি নাম। কেউ কেউ তার পক্ষে অবস্থান নিয়েছেন, আবারা কেউ কেউ তাকে কটাক্ষ করছেন। হাজারো সমালোচনাকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে সামনের দিকে এগিয়ে চলছেন হিরো আলম।
গত বুধবার (৫ এপ্রিল) বিকেলে রাজধানীর মহানগর প্রজেক্টে তার বাসায় গিয়ে দেখা যায় একটি ইংরেজি বই পড়ছেন। সাথে আরো একটি ইসলাম ও নৈতিক শিক্ষা বই। তাকে পড়ালেখায় সহযোগিতা করছেন আইনুল হক নামের এক ব্যক্তি।
হিরো আলমের কাছে জানতে চান, কেন আপনার মনে হলো এখন পড়ালেখা করতে হবে? জবাবে হিরো আলম বলেন, সত্যি কথা বলতে আমার বাসা উত্তরবঙ্গের বগুড়া। কথা বলতে গেলে বগুড়া ভাষা থেকেই যায়। বগুড়ার কথা পরিবর্তন করতে অনেকেই বলে। উচ্চারণে সমস্যা আছে, সবাই বলে হিরো আলম সবকিছু পরিবর্তন করতে পারে। নিজেকে আমি পরিবর্তন করার চেষ্টা করছি। দেখি কতদূর পরিবর্তন হতে পারি। আমার কথা নিয়ে যেহেতু এত মানুষের প্রবলেম। সবাই বলতেছে আপনি লেখা পড়া করেন। আপনি চাইলে উন্মুক্তে পড়তে পারেন। যখন সময় পাবো একটু একটু করে পড়ার চেষ্টা করতেছি। আরো ৮/১০ জন লোকের মতো স্বাভাবিকভাবে কথা বলতে পারি কিনা। আরো উন্নত কিছু হতে পারি কিনা। একটু কথাবার্তা ও স্টাইলে পরিবর্তন করতে পারলে আমাকে নিয়ে কেউ কথা বলতে পারবে। তাই আমি চেষ্টা করতেছি।
কোর্সের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এগুলো এখন বলতো। সময় মতো সবাইকে জানাবো।
সম্প্রতি হিরো আলমের চেহারা, ড্রেস ও স্টাইলে পরিবর্তনের রহস্য জানতে চাইলে এই আলোচিত ইউটিউবার বলেন, সবাই মনে করেছিল হিরো আলমকে অবহেলা করে, পরিবর্তন হতে পারবে না। নিজেকে অনেক ক্ষেত্রে পরিবর্তন করে এনেছি। বাকি সমস্যাটুকুও সমাধান করার চেষ্টা করছি। একসঙ্গে সব ঠিক করা সম্ভব না। সেই লক্ষ্যে এগিয়ে যাচ্ছি। নিজেকে সংগ্রাম, লড়াই করতে হয়। পেটের জন্য রোজগার, বিভিন্ন সামাজিক, মানবতার কাজে থাকতে হয়। শুটিংয়ে থাকতে হয়। সবকিছু মিলিয়ে ২৪ ঘন্টা ঝামেলার মধ্যে থাকতে হয়। এরই মধ্যে লেখাপড়া করা কঠিন । তারপরও চেষ্টা করে যাচ্ছি।
হিরো আলমের শিক্ষক আইনুল হক জানান, আমি যতটুকু জানি হিরো আলমকে জানানোর চেষ্টা করছি। যাতে আমারো ঋণ শোধ হয়। তিনি বলেন, হিরো আলম অনেক কষ্ট করে উঠছেন। আমি তাকে শেখানোর চেষ্টা করে যাবো।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।