জুমবাংলা ডেস্ক : দেশের করোনা ভাইরাসে সংক্রমণ বৃদ্ধির মাঝেও অর্থনীতির চিন্তা করে অনেক কিছু খুলে দিয়েছে সরকার। তবে গণপরিবহণের ক্ষেত্রে সিদ্ধান্ত আগেরটি বহাল আছে। ফলে সড়কে নামছে না গণপরিবহন।

তবে বাস মালিক সমিতি জানিয়েছে তারা বাস চালাতে রাজি আছেন। এজন্য তারা সরকারের গ্রিন সিগনালের অপেক্ষায় আছেন। আর স্বাস্থ্যবিধি মেনে গণপরিবহন চালুর দাবিও জানিয়েছে ‘যাত্রী অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ’ নামের একটি সংগঠন।
তবে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় বলেছে, বাস চলাচলের অনুমতি দেওয়া হবে কিনা সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে আগামী ১৫ মে’র পরে।
বাস মালিক বলছেন, তারা গাড়ি চালাতে চান। এ জন্য অনুমতি চেয়ে আবেদনও করেছেন। সরকারের অনুমতি পেলেই গাড়ি চালাবেন তারা। এ জন্য তাদের প্রস্তুতিও রয়েছে।
বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন সমিতির মহাসচিব খন্দকার এনায়েত উল্লাহ বলেন, আমরা সরকারের অনুমতি পেলে স্বাস্থ্যবিধি মেনে এখন থেকেই গাড়ি চালাতে রাজি। এ বিষয়ে আমাদের প্রস্তুতিও রয়েছে। এজন্য আমরা সরকারের বিভিন্ন পর্যায়ে আলাপ আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছি। এ ছাড়া আমাদের আগ্রহ ও শ্রমিকদের অসহায়ত্বের কথা জানিয়ে আবেদনও করেছি।
তিনি বলেন, এই সময়ে আমাদের শ্রমিকদের বেতন ভাতা দেওয়ার কোনও বাধ্যবাধকতা নাই। কারণ পরিবহন সেক্টরে তারা ‘নো ওয়ার্ক, নো পে’ সিস্টেমে কাজ করে। তবে আমরা তাদের জন্য বিভিন্ন উপায়ে রিলিফের ব্যবস্থা করেছি তবে তা যথেষ্ট নয় বলেই আমরা গাড়ি চালাতে চাচ্ছি। যাতে শ্রমিকরা ভালো থাকেন।
সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব মো. নজরুল ইসলাম জানিয়েছেন, ১৫ মে পর্যন্ত সারাদেশে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। তাই আপাতত ১৫ মে’র আগে এ বিষয়ে কোনও সিদ্ধান্ত হবে না। যা হওয়ার তারপরে হবে। তাই এ বিষয়ে যে কোনও প্রশ্ন ১৫ মে’র পরে করারও অনুরোধ করেন তিনি।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।



