আন্তর্জাতিক ডেস্ক : করোনা মহামারি বিশ্বজুড়ে তাণ্ডব চালিয়ে যাচ্ছে। মধ্যপ্রাচ্যের দেশ বাহরাইনেও এর ব্যতিক্রম নয়। দেশটিতে মহামারি ভাইরাসে নতুন আক্রান্তের সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলছে। সেই সঙ্গে বাড়ছে দৈনিক মৃত্যুর সংখ্যাও।
মোট ১৮ লাখ জনসংখ্যার ছোট্ট এই দ্বীপ রাষ্ট্রে শুরু থেকে এ পর্যন্ত করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ২ লাখ ৫১ হাজার ৭৮ জন। মারা গেছেন ১ হাজার ১ শত ১৯ জন। এর মধ্যে বাংলাদেশির সংখ্যা ৭২ জন। শুধুমাত্র মে’ মাসেই করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা যান ৩২ জন বাংলাদেশি।
উল্লেখ্য, দেশটিতে বাংলাদেশি মোট জনসংখ্যা প্রায় ২ লাখ বসবাস করছেন।
বাহরাইনস্থ বাংলাদেশ দূতাবাস সূত্রে জানা যায়, জানুয়ারি ২০২০ থেকে মে’ ২০২১ সাল পর্যন্ত বাহরাইনে বাংলাদেশি মৃত্যু হয়েছে ২ শত ১৩ জন। এর মধ্যে স্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে ১ শত ৯ জনের এবং করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৭২ জন, সড়ক দুর্ঘটনায় মারা গেছেন ২১ জন, কর্মক্ষেত্রে দুর্ঘটনায় মারা যান ৮ জন, আত্মহত্যা করেছেন ৭ জন। স্বাভাবিক মৃত্যুর মধ্যে বেশিরভাগ মৃত্যু হয়েছে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে এবং ব্রেনস্ট্রোকের কারণে।
প্রবাসীদের হৃদরোগে আক্রান্তের ব্যপারে বাংলাদেশ সাংবাদিক ফোরাম বাহরাইনের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কাদের মজুমদার বলেন, প্রবাসে যারা অবস্থান করেন তারা সাধারণত দেশে আর্থিক ঋণ ও পারিবারিক চাপের মধ্যে থাকেন। তাই প্রবাসে সবাইকে কাজের পরে যাতে হাসি খুশিতে থাকতে পারেন এবং প্রবাসীদের সব সময় মানসিক চাপ না দিয়ে উৎসাহিত করার জন্য তিনি দেশে থাকা পরিবারের প্রতি আহ্বান জানান।
বাহরাইনে বাংলাদেশ দূতাবাসের শ্রম সচিব (লেবার কাউন্সিলর) শেখ মোহাম্মদ তৌহিদুল ইসলাম জানান, করোনায় আক্রান্ত হয়ে কেউ মারা গেলে বাহরাইন সরকারের নিয়মানুযায়ী দেশে থাকা স্বজনদের অনুমতি নিয়ে যতদ্রুত সম্ভব লাশ এখানেই দাফন করা হয়। এছাড়া দুর্ঘটনা বা স্বাভাবিক মৃতদের লাশ যত দ্রুত সম্ভব দেশে পাঠিয়ে দেয়া হয়। অবশ্য যারা বৈধভাবে এখানে কাজ করছেন তাদের লাশ নিজ নিজ মালিকের সহযোগিতায় এবং যারা অবৈধ ও যাদের মালিক খরচ দিতে অক্ষম তাদের লাশ দূতাবাসের মাধ্যমে কমিউনিটির বিভিন্ন সচ্চল ব্যক্তি ও সংগঠনের আর্থিক সহায়তায় পাঠানো হয়ে থাকে। তিনি আরো বলেন, বাহরাইনে বর্তমানে ৪৫ হাজারেরও বেশি ফ্লেক্সি ভিসার বাংলাদেশি কর্মী রয়েছেন। তাদের জন্যে দূতাবাস ইন্সুরেন্সের পরিকল্পনা করছে বলে তিনি জানান।
বাহরাইনে নিযুক্ত রাষ্ট্রদূত ড. মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম সবাইকে রাস্তা ঘাটে চলাফেরা করতে সাবধানতা অবলম্বন ও এ দেশের সরকারের সব আইনকানুন মেনে চলার আহ্বান জানান। তিনি সবাইকে যেকোন প্রয়োজনে দূতাবাসের হটলাইন নাম্বারে যোগাযোগ করার আহ্বান জানান। হটলাইন নাম্বার: ১৭২৩৩৯২৫ (ল্যান্ডফোন) সকাল ৮ টা ৩০ মি. থেকে বিকেল ৩টা ৩০ মি. পর্যন্ত। এবং ৩৩৩৭৫১৫৫ (মোবাইল) বিকেল ৩টা ৩০ মি. থেকে পরদিন সকাল ৮টা ৩০মিনিটের ভেতরে পাওয়া যাবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।