জুমবাংলা ডেস্ক: ফরিদপুরে পদ্মা নদীর পানি গত ১২ ঘণ্টায় আরও বৃদ্ধি পেয়ে বিপদ সীমার ১০৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। খবর ইউএনবি’র।
পানি বৃদ্ধির ফলে জেলা সদর থেকে চরভদ্রাসন ও সদরপুর উপজেলায় যাওয়ার সড়কটি কয়েক স্থানে ডুবে গেছে। সেই সাথে সড়কের বিভিন্ন অংশে ফাটল দেখা দিয়েছে। বন্ধ রয়েছে ভারী যান চলাচল।
ফরিদপুর সড়ক বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী কেএম নকিবুল বারী বলেন, ‘বন্যার পানি সড়কের চারপাশে থাকায় বিভিন্ন স্থানে ফাটল দেখা দিয়েছে। আমরা চেষ্টা করছি সড়কটি রক্ষা করতে। তবে এ মুহূর্তে ভারী যান চলাচল করা যাবে না।’
জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী সুলতান মাহমুদ জানান, বর্তমানে পদ্মার পানি গোয়ালন্দ পয়েন্টে বিপদ সীমার ১০৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ফলে প্রতিদিনই নতুন নতুন এলাকায় পানি প্রবেশ করেছে। পাশাপাশি তীব্র ভাঙন দেখা দিয়েছে মধুমতি নদী তীরের আলফাডাঙা ও মধুখালী উপজেলার কয়েকটি ইউনিয়নে।
আলফাডাঙা উপজেলার চেয়ারম্যান একেএম জাহিদ হাসান বলেন, ‘মধুমতি নদীতে এ মুহূর্তে প্রচুর পরিমাণ ভাঙন শুরু হয়েছে। নিঃস্ব হচ্ছে মানুষজন। স্থানীয় এমপির সহায়তায় জরুরিভাবে ভাঙন রোধে বালুর বস্তা ফেলা হচ্ছে। তবে এ ভাঙনকবলিত এলাকায় স্থায়ী বাঁধ নির্মাণ করতে হবে।’
সদরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পূরবী গোলদার জানান, সরকারিভাবে ২৯ মেট্রিক টন চাল ও ৫০ হাজার টাকা বন্যার্তদের মাঝে বিতরণ করা হয়েছে। এ উপজেলার বেশ কয়েকটি সড়ক পানিতে তলিয়ে গেছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
জেলা প্রশাসক অতুল সরকার বলেন, ‘জেলার ৩০ ইউনিয়নে ২০ হাজার পরিবার এখন পানিবন্দী হয়ে রয়েছে। তাদের জন্য ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে সরকারি খাদ্য সহায়তা বিতরণ। এছাড়া জেলা সদর থেকে চরভদ্রাসন ও সদরপুর উপজেলায় যাওয়ার প্রধান সড়কটি চলাচলের উপযোগী করতে সড়ক বিভাগকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে, যদিও ওই সড়কের বেশ কিছু স্থান পানিতে নিমজ্জিত।’
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।