জুমবাংলা ডেস্ক : শেরপুরের ঝিনাইগাতীতে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত এক নারী (২৬) বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে গেছেন। আজ বুধবার বিকেলে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা (ইউএইচএফপিও) ডা. মো. জসিম উদ্দিন তার পালিয়ে যাওয়া বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. আহেদ ইকবাল বলেন, ‘গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরীক্ষাগার থেকে পাঠানো প্রতিবেদনে এ উপজেলায় সাংবাদিক, এক নারীসহ তিনজনের শরীরে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শনাক্ত হয়।’
করোনায় আক্রান্ত সাংবাদিক স্থানীয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল শেরপুরের আলো’র সম্পাদক ও প্রকাশক। অপরজন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের এক নার্সের স্বামী। তিনি ভেটেরিনারি সার্জন এবং নারায়ণগঞ্জে কর্মরত আছেন।
আক্রান্ত অপরজন হলেন বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যাওয়া ওই নারী রোগী। তিনি ধানশাইল ইউনিয়নের বাগেরভিটা এলাকার আমিরুলের স্ত্রী। ডা. আহেদ ইকবাল বলেন, ‘তিনজনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হওয়ার পর তাদের নিজ বাড়িতেই হোম কোয়ারেন্টিনে থাকার নির্দেশনা প্রদান করা হয়। সাংবাদিক ও ভেটেরিনারি সার্জন নির্দেশনা মানলেও আক্রান্ত নারী বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে গেছেন। আজ স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মীরা আক্রান্ত নারীর খোঁজখবর নিতে গেলে তার পালানোর বিষয়টি জানাজানি হয়। তাকে অনেক খোঁজাখুজি করেও পাওয়া যাচ্ছে না।’
ধানশাইল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘পালিয়ে যাওয়া রোগীর খোঁজ করতে ইউপি সদস্য ও গ্রামপুলিশসহ এলাকার লোকজনকে খোঁজার জন্য বলে দিয়েছি।’
ঘটনার বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা (ইউএইচএফপিও) ডা. মো. জসিম উদ্দিন বলেন, ‘করোনা আক্রান্ত হয়ে এলাকা থেকে পালিয়ে যাওয়া খুবই দুঃখজনক। মানুষ নিজে নিজে সচেতন না হলে করোনাভাইরাস পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা খুবই কঠিন। তবে তাকে খুঁজতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।’
এদিকে আক্রান্ত সাংবাদিকের পরিবারের চার সদস্যসহ ১৭ জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। আগামীকাল বৃহস্পতিবার সকাল ৯টার মধ্যে নমুনাগুলো ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজে পাঠানো হবে। তাদের হোম কোয়ারেন্টিনে থাকতে বলা হয়েছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।