জুমবাংলা ডেস্ক : জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও সংসদের বিরোধীদলীয় নেতা এবং সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের তৃতীয় জানাজা বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সোমবার আসরের নামাজের পর তার তৃতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।
জানাযা অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন বায়তুল মোকাররমের খতিব মিজানুর রহমান। জানাযায় জাতীয় পার্টির নেতাকর্মীদের পাশাপাশি বিপুল সংখ্যক সাধারণ মানুষ অংশগ্রহণ করেন।
এর আগে শেষ যাত্রায় কাকরাইল জাপা কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এরশাদের মরদেহ পৌঁছালে সারাদেশের বিভিন্ন ইউনিট থেকে আসা নেতা-কর্মীরা শ্রদ্ধার জন্য রাখা এরশাদের হিম-কফিনে ফুলেল শ্রদ্ধা জানান।
এরশাদের প্রতি শেষ শ্রদ্ধা জানানোর অংশ হিসেবে দলটি কেন্দ্রীয় এ কার্যালয়ের তৃতীয় তলায় শোক বই খোলা হয়েছে। আগামি ১৮ জুলাই পর্যন্ত এ শোক বই খোলা থাকবে।
সকাল ১০টা ৫০ মিনিটে হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের দ্বিতীয় নামাজে জানাযা জাতীয় সংসদের টানেলে অনুষ্ঠিত হয়।
প্রথমে জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজায় নামাজে জানাযা হওয়ার কথা থাকলেও বৃষ্টির কারণে টানেলে জানাযার নামাজ আদায় করা হয়।
রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ এবং সংসদ সদস্যরাসহ অনেকেই জানাযায় অংশ নেন। জানাযা শেষে রাষ্ট্রপতিসহ অন্যরা ফুল দিয়ে মরহুমের প্রতি শ্রদ্ধা জানান।
আজ রাতে সিএমএইচের হিমঘরে এরশাদের মরদেহ রাখা হবে। ১৬ জুলাই সকাল ১০টায় হেলিকপ্টার যোগে মরদেহ রংপুরে নেয়া হবে। রংপুর জেলা স্কুল মাঠে অথবা ঈদগাহ মাঠে বাদ জোহর চতুর্থ জানাযা ওইদিন বিকেলে ঢাকায় বনানী সামরিক কবরস্থানে এরশাদকে দাফন করা হবে।
বুধবার গুলশান আজাদ মসজিদে এরশাদের কুলখানি হবে।
রোববার সকাল পৌনে ৮টার দিকে রাজধানীর সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান এরশাদ।
এর আগে শারীরিক অবস্থা খারাপ হয়ে পড়লে গত ২৬ জুন হুসেইন মুহম্মদ এরশাদকে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) ভর্তি করা হয়েছিল। তিনি ফুসফুসে সংক্রমণসহ বয়সজনিত বিভিন্ন রোগে ভুগছিলেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।