জুমবাংলা ডেস্ক : করোনার শুরুতে কেউ মারা গেলে তার লাশ পরিবারের কেউ ধরেননি। সেসময় সরকারের প্রশাসন, আওয়ামী লীগ এমনকি বিএনপির লোকেরাও মরদেহ দাফন করেছেন।
মঙ্গলবার (৩০ নভেম্বর) সদর উপজেলার ইউএনও আরিফা জহুরার বিদায় ও নতুন ইউএনও মো. রিফাত ফেরদৌসের বরণ সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য শামীম ওসমান।
তিনি বলেন, আমরা দেখেছি গলাচিপায় বাবার লাশ পড়ে আছে, সেই লাশ নিয়ে যাওয়ার সময় সন্তানরা বলেছে তোষকটাও নিয়ে যান, পুড়িয়ে ফেলুন নিয়ে। কিন্তু এটাও ঠিক নিয়ে গেছেন যারা তারা বাইরের লোক। এদের মধ্যে সরকারের প্রশাসনের লোক আছেন। আওয়ামী লীগের লোকজনও আছেন। আমি আজকে সত্যি করে বলতে চাই বিএনপিরও অনেকে আছেন। এই যে বিএনপির খোরশেদ, সেও অনেক কাজ করেছেন। জানাযা দিয়েছেন, মানুষের মরদেহ নিয়ে এসেছেন। এগুলোই থেকে যাবে দুনিয়ায়।
শামীম ওসমান বলেন, এই করোনাকালে আমরা মানুষ চিনেছি। এটা কেউ ভুলবেন না। নারায়ণগঞ্জের কী দৃশ্য যে আমরা দেখেছি। একটা হাসপাতালে যখন রোগী ভর্তি করতে পেরেছি সঙ্গে সঙ্গে নফল নামাজ পড়েছি। আবার যখন বেরিয়ে এসেছে তখনও নফল নামাজ পড়েছি।
তিনি আরও বলেন, নারায়ণগঞ্জেই প্রথম কোভিড এলো। উহান হয়ে গেল নারায়ণগঞ্জ। এই নারায়ণগঞ্জে আমি দেখলাম অনেক বাবার লাশ ছেলে ধরেন না। আমরা দেখলাম গিটারিস্ট একটা ছেলের লাশ সারারাত বাবুরাইল পড়ে ছিল। কেউ লাশটা উঠিয়ে নেয়নি।
নেতাকর্মীদের ভারে সমাবেশের মঞ্চ ভেঙে পড়ে গেলেন বিএনপি নেতারা
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।