জুমবাংলা ডেস্ক : জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে সংলাপে বিএনপি বিতর্কিত কোনো ব্যক্তি যাতে ভবিষ্যতে প্রধান বিচারপতি না হন, সে জন্য একটি বিকল্প পদ্ধতির প্রস্তাব দিয়েছে। দলটি সুপ্রিম কোর্টের সবচেয়ে জ্যেষ্ঠ দুই-তিনজন বিচারপতির মধ্য থেকে প্রধান বিচারপতি নিয়োগের পক্ষে মত দিয়েছে।
Table of Contents
বিচার বিভাগ নিয়ে বিএনপির অবস্থান
বিএনপির পক্ষ থেকে বলা হয়, সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি নিয়োগসংক্রান্ত অধ্যাদেশ হাইকোর্টে চ্যালেঞ্জ হয়েছে। সুপ্রিম কোর্ট সচিবালয় প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ এবং বিচার বিভাগের স্বাধীনতা রক্ষায় দলটি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। বিচারব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের সুপারিশে আপিল বিভাগের সবচেয়ে জ্যেষ্ঠ বিচারপতিকে প্রধান বিচারপতি হিসেবে নিয়োগের প্রস্তাবে বিএনপি দ্বিমত জানিয়ে বলেছে, একক বিকল্পে নয় বরং দুই-তিনজন সিনিয়রের মধ্যে থেকে নির্বাচন করা উচিত।
প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতা ও মন্ত্রিসভা পরিচালনা
বিএনপি জানিয়েছে, প্রধানমন্ত্রীর কর্তৃত্ব থাকা উচিত এবং মন্ত্রিসভা প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক পরিচালিত হওয়া উচিত। দলটি বলেছে, সংসদ নেতা ও প্রধানমন্ত্রীর ভূমিকা বিভাজনের চেয়ে এটি একত্রে রাখাই ভালো।
প্রধানমন্ত্রীর মেয়াদ ও দলে স্বাধীনতা
সংবিধান সংস্কার কমিশনের ‘একজন ব্যক্তি সর্বোচ্চ দুইবার প্রধানমন্ত্রী হতে পারবেন’ প্রস্তাবে বিএনপি দ্বিমত পোষণ করেছে। বিএনপির প্রস্তাবে বলা হয়েছে, দুইবারের পরে বিরতি দিয়ে আবারও প্রধানমন্ত্রী হওয়ার সুযোগ থাকতে হবে। দলীয় প্রধান ও সরকারপ্রধান আলাদা করার প্রস্তাবেও বিএনপি ভিন্নমত পোষণ করেছে।
রাষ্ট্রপতির ক্ষমতা ও দ্বিকক্ষবিশিষ্ট পার্লামেন্ট
বিএনপি রাষ্ট্রপতির ক্ষমতা বাড়ানোর পক্ষে এবং দ্বিকক্ষবিশিষ্ট পার্লামেন্টের প্রস্তাবকে সমর্থন করেছে। উচ্চ কক্ষের নাম হবে ‘সিনেট’ এবং নিম্ন কক্ষ ‘জাতীয় সংসদ’। তবে সংরক্ষিত নারী আসনের নির্বাচন পদ্ধতি নিয়ে তাদের ভিন্নমত রয়েছে।
তত্ত্বাবধায়ক সরকার ও মানবাধিকার ইস্যু
তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা সংখ্যা ১৪ জন করার প্রস্তাবকে বিএনপি সমর্থন করেছে। স্থানীয় সরকার নির্বাচনে দলীয় প্রতীক না রাখার প্রস্তাবেও তারা একমত। শৃঙ্খলা বাহিনীর মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিষয়ে বিএনপি সতর্ক অবস্থান নিয়েছে এবং বিষয়টি আরও আলোচনা সাপেক্ষ বলে জানিয়েছে।
আলোচনা ও পরবর্তী প্রক্রিয়া
বিএনপির পক্ষ থেকে বলা হয়, প্রধান বিচারপতি নিয়োগের মতো সংবেদনশীল বিষয়গুলো তাড়াহুড়ো করে নয়, বরং জাতীয় ঐকমত্যের ভিত্তিতে চূড়ান্ত করা উচিত। আলোচনার মাধ্যমে সব দলের মতামতের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত হবে।
আরও পড়ুন: শব্দদূষণ রোধে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে: উপদেষ্টা রিজওয়ানা
বিএনপির প্রস্তাবে বলা হয়েছে, ভবিষ্যতে যাতে বিতর্কিত কোনো ব্যক্তি প্রধান বিচারপতি না হন, সে জন্য আপিল বিভাগের সবচেয়ে জ্যেষ্ঠ দুই-তিনজন বিচারপতির মধ্য থেকে প্রধান বিচারপতি নিয়োগের পদ্ধতি নির্ধারণ করা উচিত। এই প্রস্তাবটি বিচার বিভাগের স্বাধীনতা রক্ষায় দলটির অবস্থানকে স্পষ্ট করে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।