জুমবাংলা ডেস্ক : আগামী ৩০ জানুয়ারী অনুষ্ঠিতব্য কুমিল্লার লাকসাম পৌরসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে বিএনপি থেকে সম্ভাব্য মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থী, বিএনপি ও যুবদল নেতাদের উপর অতর্কিত হামলা করেছে স্থানীয় ছাত্রলীগ ও যুবলীগের নেতাকর্মীরা। এই অভিযোগ করেছেন লাকসাম পৌরসভা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক মো. মনির হোসেন। বৃহস্পতিবার দুপুরে এ হামলার ঘটনা ঘটে।
লাকসাম পৌরসভা বিএনপির নেতৃবৃন্দ জানান, নির্বাচনকে সামনে রেখে লাকসাম উত্তরবাজারস্থ দলের অস্থায়ী কার্যালয় সম্ভাব্য মেয়র প্রার্থী আবুল হাসেম মানুর বাসভবনের নীচতলায় পৌর বিএনপির সিনিয়র নেতৃবৃন্দ আলোচনায় বসেন। সেখানে উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক, বর্তমান আহবায়ক কমিটির সিনিয়র যুগ্ন-আহবায়ক আবদুর রহমান বাদল এবং বিএনপি থেকে অপর সম্ভাব্য মেয়র প্রার্থী পৌরসভা বিএনপির সাবেক সাধারন সম্পাদক বেলাল রহমান মজুমদার সহ বিএনপি ও অংঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। এ সময় ছাত্রলীগ যুবলীগের সশস্ত্র ক্যাডাররা সর্বপ্রথম সেখানে গিয়ে অতর্কিত ভাবে ওই আলোচনা সভাটি পন্ড করে দেয়। এর কিছুক্ষন পর বেলা ১২ টার দিকে সম্ভাব্য মেয়র প্রার্থী পৌর বিএনপির সাবেক সাধারন সম্পাদক বেলাল রহমান মজুমদার, ৭নং ওয়ার্ডের সম্ভাব্য কাউন্সিলর প্রার্থী পৌরসভা যুবদলের সাবেক সভাপতি জিল্লুর রহমাান ফারুক, ৪নং ওয়ার্ডের সম্ভাব্য কাউন্সিলর প্রার্থী পৌরসভা যুবদলের সাবেক সভাপতি মাহবুবুর রহমান মানিক, পৌরসভা শ্রমিক দলের সভাপতি বাবুল মিয়া, বিএনপি নেতা শাহআলম লাকসাম উত্তর বাজার এলাকা দিয়ে নিজ নিজ বাসবভনে যাওয়ার পথে আগে থেকেই ওঁত পেতে থাকা ছাত্রলীগ যুবলীগের সশস্ত্র ক্যাডাররা তাদের উপর অতর্কিত হামলা করে তাদেরকে গুরুতর আহত করে। তারমধ্যে যুবদল নেতা ফারুক ও মানিকের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাদেরকে লাকসামের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ সময় বিএনপির কর্মীদের দুটি মটরসাইকেলও নিয়ে যায় বলে তারা জানান।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে লাকসাম পৌরসভার মেয়র ও পৌর যুবলীগের সভাপতি আবুল খায়ের বলেন, বিএনপির নেতাকর্মীদের উপর ছাত্রলীগ ও যুবলীগের নেতাকর্মীরা হামলা করার বিষয়টি আমার জানা নেই। আজ (বৃহস্পতিবার) আমাদের জঙ্গিবাদ বিরোধী বিক্ষোভ মিছিল ছিল । আমরা এই কর্মসূচী নিয়ে সারা দিন ব্যস্ত ছিলাম।
এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত লাকসাম শহরে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। রাস্তার মোড়ে মোড়ে পুলিশের সতর্ক অবস্থান রয়েছে।
এ বিষয়ে লাকসাম থানার ওসি তদন্ত মো. তোফাজ্জল হোসেন জানান, বিএনপির নেতাকর্মীদেও উপর যুবলীগ ও ছাত্রলীগের হামলার বিষয়টি আমার জানা নেই। আপনি একটু কষ্ট করে আমাদের ওসি স্যারের সাথে কথা বলেন।
লাকসাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার সেল ফোনে একাধিক ফোন করেও তাকে পাওয়া যায়নি।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।