জুমবাংলা ডেস্ক: জনগণ বিএনপি নেতাদের কথাবার্তা আমলে নিচ্ছে না বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ।
ঢাকা বার কাউন্সিলের নির্বাচনে কি হয়েছে সেটার সঙ্গে বিএনপি বেগম খালেদা জিয়ার মামলার সম্পর্ক জড়ানো এটা আসলে রাজনৈতিক কূটকৌশলের অংশ ছাড়া কিছুই নয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘সুপ্রিম কোর্টের নির্বাচন নিয়ে যে বিষয়টা হয়েছে সেটা সুপ্রিম কোর্টের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট আইনজীবীরা ভালো ব্যাখ্যা দিতে পারবেন।’
মাহবুব উল আলম হানিফ আজ কুষ্টিয়া শহরের পিটিআই রোডের নিজ বাসভবনে সমসাময়িক রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন। এসময় কুষ্টিয়া জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারন সম্পাদক শেখ হাসান মেহেদি ও পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আতাউর রহমান আতাসহ দলীয় নেতা কর্মিরা উপস্থিত ছিলেন।
হানিফ বলেন, ‘আমরা যতটুকু জেনেছি নির্বাচনের পরে ফলাফল গণনার সময় কিছু বির্তক হয়েছিল এবং অভিযোগের পরিপেক্ষিতে ভোট পুনরায় গণনা করে ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে। এর বাইরে কোন তথ্য জানা নেই। এর বাইরে যদি কোন তথ্য থাকে সেটা সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সমিতি হয়তো এব্যাপারে ব্যাখ্যা দিতে পারবেন। তবে আমরা সবসময় চেয়েছি স্বচ্ছ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে নির্বাচন হোক সেই নির্বাচনের যে ফলাফল হোক সেটা সবাইকে মেনে নিতে।’
তিনি বলেন, ২০০৯ সাল থেকে আওয়ামী লীগ টানা ১৩ বছর রাষ্ট্র ক্ষমতায় রয়েছে। এই ১৩ বছরে অনেকবার সুপ্রিম কোর্টের নির্বাচন হয়েছে এবং বিএনপির অনেক প্রার্থী জয় লাভ করেছেন। সেসময় যখন আওয়ামী লীগ রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা ব্যবহার করে বিএনপির প্রার্থীকে পরাজিত করার ইচ্ছে পোষন না করে এখন তাহলে কি কারনে সেই ইচ্ছে পোষন করবে। এগুলো আসলে পরাজিত হওয়ার কারনে বিএনপির মিথ্যা অভিযোগ করা।
বিএনপির আন্দোলন প্রসঙ্গে হানিফ বলেন, ২০১২ সালের পর থেকে বেগম খালেদা জিয়াসহ বিএনপির শীষর্ নেতারা একাধিক বার বলেছেন ঈদের পরে তীব্র আন্দোলনের মাধ্যমে সরকারের পতন ঘটানো হবে। আল্লাহর অশেষ রহমতে বিএনপির তীব্র আন্দোলনের মুখেও সরকার টানা ১৩ বছর রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় আছে। সরকার তার নির্ধারিত সময় শেষ করে নির্বাচনের মাধ্যমে আবারো শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ক্ষমতায় আসবে বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন হানিফ।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।