নিজস্ব প্রতিবদেক, গাজীপুর: গাজীপুরের শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের একমাত্র সিটি স্ক্যান মেশিন এক বছর ধরে বিকল অবস্থায় পড়ে আছে। এ সময়ের মধ্যে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় এবং অধিদফতরে ১০ বার চিঠি পাঠিয়েও ঠিক করা যায়নি সিটি স্ক্যান মেশিন। এতে প্রতিনিয়ত ভোগান্তিতে পড়ছেন রোগীরা।
মহানগরের উত্তর রাজবাড়ি এলাকার বাসিন্দা মো. ইমন বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘আমার বাবা সৈয়দ মনিরুজ্জামান স্ট্রোক করলে মঙ্গলবার বিকালে ওই হাসপাতালের মেডিসিন ওয়ার্ডে ভর্তি করাই। চিকিৎসক তার বিভিন্ন পরীক্ষার সঙ্গে সিটি স্ক্যান করার পরামর্শ দেন। হাসপাতালের রেডিওলজি ও ইমেজিং বিভাগে থাকা সিটি স্ক্যান করাতে যাই। তখন জানতে পারি মেশিনটি নষ্ট। বাধ্য হয়ে অ্যাম্বুলেন্স ভাড়া করে প্যারালাইজড বাবাকে নিয়ে বাইরের ক্লিনিকে যেতে হয়েছে। এতে একদিকে যেমন ভোগান্তিতে পড়তে হয়েছে, অপরদিকে অধিক খরচ গুনতে হয়েছে। শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ হাসপাতালে মস্তিষ্কের স্ক্যানের জন্য দুই হাজার, বক্ষ স্ক্যানের জন্য আড়াই এবং অ্যাবডোমেন সিটি স্ক্যান করতে খরচ পড়ে প্রায় চার হাজার টাকা। আর বাইরে থেকে এসব পরীক্ষা করতে রোগীকে প্রায় দ্বিগুণ টাকা খরচ করতে হয়।’
হাসপাতালের মেডিক্যাল টেকনোলজিস্ট মো. মোফজ্জল হোসেন বলেন, ‘গত বছরের ২৮ আগস্ট থেকে নষ্ট হয়ে যায় বিভাগের সিটি স্ক্যান মেশিনটি। প্রতিদিন হাসপাতালে ২৫-৩০ জন রোগী আসেন সিটি স্ক্যানের জন্য। কিন্তু মেশিনটি নষ্ট থাকায় আমরা পরীক্ষা করাতে পারছি না। এটি ঠিক করার জন্য সাবেক মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রীর সুপারিশসহ স্বাস্থ্য অধিদফতর এবং মন্ত্রণালয়ে ১০টি চিঠি পাঠানো হয়েছে। কিন্তু কোনও কাজ হয়নি। জানতে পেরেছি মেশিনটির তিন বছরের ওয়ারেন্টি ছিল। ওয়ারেন্টি শেষ হওয়ার পর এটা নিয়ে মন্ত্রণালয় ও সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানের মধ্যে মেইনটেন্যান্স চুক্তি হয়। এতে মেইনটেন্যান্স মূল্য নিয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানের মতবিরোধ দেখা দেয়। এই হাসপাতালের মতো সারা দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে মেশিন মেইনটেন্যান্স খরচ নিয়ে মতবিরোধ সৃষ্টি হওয়ায় অকেজো মেশিনটি সচল হচ্ছে না।’
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিক্যাল কলেজের পরিচালক মো. আমিনুল ইসলাম বলেন, ‘মেইনটেন্যান্স খরচ নিয়ে মন্ত্রণালয় ও সরবরাহকারীর মধ্যে শর্তের মতবিরোধ থাকায় সমস্যার সমাধান হচ্ছে না।’
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।