জুমবাংলা ডেস্ক : পিবিআই যশোর জেলা একটি আভিযানিক দল অভিযান চালিয়ে বিকাশের মাধ্যমে প্রতারকচক্রের মূল হোতা মোঃ সাদমান আকিব হৃদয় (২০), পিং-সৈয়দ বিশ্বাস, সাং-পারপলিতা, থানা-মাগুরা সদর, জেলা-মাগুরা, অন্যতম সহযোগী মোঃ সোহেল (২০), পিং-আব্দুল খালেক মোল্লা, সাং-ডহরসিংড়া, থানা-মাগুরা সদর, জেলা-মাগুরা, মোঃ অপু মোল্লা (১৯), পিং-মোঃ তরিকুজ্জামান, সাং- ডহরসিংড়া, থানা-মাগুরা সদর, জেলা-মাগুরা, মোঃ মনিরুল ইসলাম (২৬), পিং-আঃ জলিল মিয়া, সাং-সত্যবানপুর, থানা-মাগুরা সদর, জেলা-মাগুরাদের আটক করতে সক্ষম হয়েছে।
উল্লেখ্য যে, জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত এবং বিভিন্ন টেলিভিশন মাধ্যমে প্রচারিত বিকাশের মাধ্যমে প্রতারণা খবর প্রাপ্তির পর হতেই উক্ত প্রতারণার সহিত জড়িত ব্যক্তিদের সনাক্ত করণের প্রচেষ্টা অব্যহত থাকে এবং প্রতারিত ও ক্ষতিগ্রস্থ ব্যক্তিদের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করা হয়। প্রতারিত ব্যক্তিদের সাথে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে যোগাযোগ করে প্রতারণার কৌশল এবং ক্ষতিগ্রস্থ ব্যক্তিদের দেয়া বক্তব্যের মধ্যে মিল পাওয়া যায়। ক্ষতিগ্রস্থ ব্যক্তিদের কাছ থেকে প্রাপ্ত তথ্য মোতাবেক অনুসন্ধানের পর্যায়ে জড়িত অপরাধীদের সনাক্ত করতে সমর্থ্য হয়।
পিবিআই, যশোর জেলার একাধিক অফিসারের সমন্বয়ে গঠিত আভিযানিক দল বিগত ০১ মাস যাবৎ তথ্য সংগ্রহ ও তা বিশ্লেষণপূর্বক ঘটনার সহিত সরাসরি জড়িত ব্যক্তিদের সনাক্তপূর্বক আটক করে। উক্ত প্রতারণামূলক কর্মকান্ডে ব্যবহৃত ১২ (বার)টি মোবাইল ফোন, বিভিন্ন অপারেটরের সিম ২১(একুশ)টি টার্গেটকৃত ব্যক্তিদের মোবাইল নম্বরের রেজিষ্টার, টাকা উত্তোলনের রেজিষ্টার এবং নগদ ২,৫০০/- (পঁচিশশত) টাকা উদ্ধার করা হয়।
আটককৃতদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে নিজেদের সম্পৃক্ত থাকার বিষয়টি স্বীকার করেন এবং অভিযুক্ত আটককৃতদের প্রতারণা কাজে নিজেদের ব্যক্তিগত ভূমিকা বর্ণনা করেন। প্রথমে মাঠ পর্যায়ের অভিযুক্তরা বিভিন্ন বিকাশের দোকান হতে তাদের হাতে থাকা মোবাইল দিয়ে দোকানের বিকাশের রেজিষ্টারের পাতার কৌশলে ছবি তুলে নেয়। তারপর ছবিগুলো দ্বিতীয়ধাপের প্রতারকের কাছে পাঠায়। তারা বিকাশের প্রধান কার্যালয়ের কর্মকর্তার পরিচয় দিয়ে কৌশলে ক্ষতিগ্রস্থ ব্যক্তিদের বিকাশ এ্যাকাউন্ডের ভেরিফিকেশন কোড ও পিন কোড সংগ্রহ করে এবং বিকাশ এ্যাপসের মাধ্যমে তাদের নির্ধারিত নম্বরে টাকা পাঠিয়ে দেয়।
সর্বশেষ তৃতীয় ধাপে প্রতারকরা বিকাশের দোকানদারের মাধ্যমে উক্ত টাকা উত্তোলন করেন এবং সরাসরি দোকানদার প্রতারণার কাজে সহযোগিতা করেন। প্রতারণার কাজে মাগুরা, নড়াইল, ফরিদপুর, রাজবাড়ী, রাজশাহী ও যশোর জেলার অধিকাংশ প্রতারক জড়িত। প্রতারণার সহিত জড়িত অন্যান্যদের গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যহত আছে।
বিকাশের মাধ্যমে প্রতারিত একাধিক অপারেটরের মোবাইল সিম উদ্ধার করা হয়েছে। তার মধ্যে অধিকাংশ প্রতারণার কাজে উল্লেখিত সিম নম্বর ০১৩১৬-৩৩৩৬৪৪, ০১৭৯৬-৩৫১৬৮০, ০১৯০৫-৫৩০৫২৫, ০১৮৯৩-৭০৫৯২৫, ০১৭১৪-৬৪৩৬৫৬, ০১৮৪০-৭৪৪৬৪৬ ব্যবহার করেছে। আটককৃতদের যশোর কোতয়ালী মডেল থানায় সোপর্দ করা হয়েছে। উক্ত ঘটনা সংক্রান্তে যশোর কোতয়ালী মডেল থানায় মামলা রুজু প্রক্রিয়াধীন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।