বিনোদন ডেস্ক : কলকাতার জনপ্রিয় বেসরকারি স্যাটেলাইট টেলিভিশন জি বাংলার সারেগামাপা অনুষ্ঠানে পারফর্ম করা নোবেলকে নিয়ে চলছে দুই বাংলার নেট দুনিয়ায় লড়াই। এসব লড়াইয়ের পক্ষে বিপক্ষে নানা কথা আসছে। তবে এরইমধ্যে একটা জিনিস পরিস্কারভাবে বোঝা যায় পশ্চিমবঙ্গে নোবেলের প্রচুর ভক্তের সৃষ্টি হয়েছে। রবিবার মান্নাদে’র যদি কাগজে লেখো নাম শিরোনামের গান গেয়ে ফের আলোচনা-সমালোচনার মুখে পড়েছেন নোবেল।
নদী নামের একজন সোশ্যাল মিডিয়ায় লিখেছেন, ‘নোবেল তার লক্ষ্য থেকে বহু দূরে সরে গেছে। তা নাহলে সে বুঝতো কিশোর কুমার, রাফি, মান্না দে বা এইকালের আরিজিত সিং, শ্রেয়া ঘোষাল, সানাম, আইয়ুব বাচ্চু, জেমস আরও অনেক পপুলার শিল্পীরা তাদের কত লাখ ফ্যান ফলোয়ার হয়েছে এই চিন্তায় বিভোর থাকতোনা, তাদের গান চিরসবুজ স্মরণীয় হয়ে আছে। বাংলাদেশ এর বিতারিত অসম্মান অপমানিত নোবেলের এখন উচিত ইন্ডিয়াতে প্লেব্যাক করার সুযোগকে রেসপেক্ট করা, নোবেল যদি মনে করে এটা তারই পাওনা ছিল সেটা তাহলে ভীষণ বড় ভুল। ইমম্যাচুইরিটি’র কারণে কয়েকটা গোল্ডেন গিটার, কয়েকটা সাকসেস, ফ্যান দের লাভ ইউ…. নোবেলকে তার লক্ষ্য থেকে ছিটকে দিচ্ছে বহু দূরে। আর সেই ফাঁকা জায়গায় সেই সুযোগে অংকিতা,গৌরব, স্নিগ্ধজিত, হৃতি এগিয়ে গেছে বহুদূর।’
তিনি লিখেছেন, ‘ব্যান্ড তৈরি করলেই গান হয়না, কয়টা কবিতার লাইন লিখে গিটার এ টুং টাং আর ড্রাম এ ধুম ধাম বারি মারলেই গান হয়না। এখন কঠিন সময়, নোবেলের উচিত ভারতে থেকে চরম রেওয়াজ করা এবং মিউজিশিয়ান দের সাথে চরম আন্ডারস্ট্যান্ডিং করে গান চয়েস করা ও প্র্যাকটিস করে তার লক্ষ্যে পৌঁছানো, ব্যান্ড তৈরি, নিজে গান লিখা সুর করা এসব কম্পিটিশন শেষ করেও হতে পারে। নোবেল, আমি কখনই চাইনা তুমি মাথা নিচু করে হেরে গিয়ে দেশে ফিরে আসো! মাথায় রাখো এটা, আল্লাহ তোমাকে মিউজিকে শাইন করার মহান সুযোগটি দিয়েছেন এটা মিস করোনা এবং বাংলাদেশে তোমার অতীতকে ভুলে যেওনা! দপ করে জ্বলে উঠে আবার দুপ করে নিভে যেওনা।’
জনি নামের একজন লিখেছেন, ‘এটা কাগজে লেখো নাম) কমফোর্ট জোনের গান না। আর আমরা কেউই গানের গ ও বুঝি না। আমরা নোবেলের প্রেমে এতো মজে গেছি ও গাইছে মানে সেটাই সেরা। এই মনভাব থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। এটা আমার আপনার বাড়ির পাশের স্কুল বা কলেজে কোন গানের শো না।এখানে যারা আছে সবাই বাঘা বাঘা শিল্পী সো তাকে তাদের সাথে পাল্লা দিয়েই গাইতে হবে। সবাই জাজদের নামে বিভিন্ন কথা বলছেন। একবার তাদের সম্পর্কে খোজ নিয়ে দেখেন। তারা গানের উপর কতটা দক্ষ।’
তিনি বলেন, ‘নোবেল ভাল গান গায় এটা আমরা এবং ইন্ডিয়ার লোকেরও ভাল জানে। তার জন্যই তাকে দিয়ে প্লেব্যাক করাচ্ছে। বাংলাদেশের কতজন সঙ্গীত পরিচালক তার দিকে গান নিয়ে এগিয়ে এসেছে বলেন তো। সবাই বড় বড় কথা বলতে পারি কাজের কাজ কিছুই করি না।’
আদনান নামের একজন লিখেছেন, ‘নোবেলকে চ্যাম্পিয়ন দেখা বা আশা করাটা বোকামি ছাড়া আর কিছু না। কারণ নোবেল যতই ভালো পারফর্ম করুক না কেনো ওকে যে উইনার দিবে না এটা নিশ্চিত। তার নমুনা নিজের চোখেই দেখছেন গত ৩ এপিসোডে নোবেলকে নাম্বার কমাই দিচ্ছে এরা। আসলে এরা খুব ভালো করে জানে যে বাংলাদেশের মানুষরা এখন শুধু মাত্র নোবেল এর কারনে জি বাংলা বা জি বাংলা সারেগামা অনুষ্ঠান টা দেখে,আর বাংলাদেশের এই দর্শক গুলো ধরে রাখার তাদের একমাত্র লক্ষ্য। তাই নোবেলকে ওদের এখন প্যরয়োজন এই জন্যই নোবেলকে ওরা এখন ওদের স্বার্থে ব্যবহার করছে। প্রয়োজন শেষে ছুড়ে ফেলে দিবে, তার নমুনা দেখতেই পাচ্ছি আমরা নোবেলকে এখন প্রত্যেকটা এপিসোডে তারা নাম্বার কম দিচ্ছে। আরেকটা জিনিস খেয়াল করেন নোবেলকে কিন্ত পারফর্ম করতে ডাকা হয় সবার শেষে। মানে বাংলাদেশিরা যেন পুরো অনুষ্ঠানটা দেখে তার জন্য নোবেলকে সবার শেষে ডাকা হয়।’
তবে নোবেলকে সবার চেয়ে ব্যতিক্রম উল্লেখ করে পার্থ প্রতীম নামের একজন লিখেছেন, ‘নোবেল একমাত্র প্রতিযোগী এই সিজনে, যে প্লেব্যাক করেছে, শান্তুনু তার জন্য একটি গান তৈরী করতে যাচ্ছে, মোনালী মুম্বায় বিভিন্ন মিউজিক ডিরেক্টর দের তার কথা বলছে, এগুলি থেকে আমরা বিরতো থাকতে পারিনা, নোবেলের কোনো গ্রামেটিক্যাল শিক্ষা নেই, তার পরেও সে যে যতো ভাবের গান করছে, এই জন্যে ওকে স্যালুট ৷’
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।