জুমবাংলা ডেস্ক: রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলায় স্ত্রী পলি খাতুন ও পাঁচ মাস বয়সী শিশুকন্যা ফারিহাকে বালিশচাপায় হত্যা করে মাদকাশক্ত যুবক ফিরোজ। ঘুমিয়ে থাকার কারণে আড়াই বছরের ছেলে ফাহিম আলী বেঁচে যায়।
পরে স্থানীয়রা শিশুর কান্না শুনে ঘরে ঢুকে দেখেন বিছানায় মা ও মেয়ের অচেতন মরদেহ পড়ে আছে।
সোমবার রাত ১টার দিকে পুঠিয়া উপজেলা পৌরসভার ৩নং ওয়ার্ডের গোপালহাটি ফকিরপাড়া মহল্লায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন- একই এলাকার ফিরোজ আলীর স্ত্রী পলি খাতুন (২০) ও তার মেয়ে ফারিয়া (৫ মাস)।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, ফিরোজ আলী পুঠিয়া পৌরসভার ৩নং গোপালহাটি ওয়ার্ডের ফকিরপাড়া মহল্লায় স্ত্রী, আড়াই বছরের ছেলে ও পাঁচ মাস বয়সী কন্যাশিশুকে নিয়ে বসবাস করত।
সোমবার রাত ১টার দিকে স্ত্রী পলি খাতুন ও পাঁচ মাস বয়সী শিশুকন্যা ফরিহাকে বালিশচাপা দিয়ে হত্যা করে ফিরোজ। ঘুমিয়ে থাকার কারণে আড়াই বছরের ছেলে ফাহিম আলী বেঁচে যায়।
রাতেই শিশু ফাহিম আলীর কান্না শুনতে পেয়ে স্থানীয়রা ঘরে ঢুকে পলি ও ফরিহাকে বিছানায় অচেতন অবস্থায় দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দেন।
পুঠিয়া থানা পুলিশ নিহতদের মরদেহ উদ্ধার করেছে। ঘাতক ফিরোজ পালানোর সময় ঢাকার গাবতলী এলাকায় একটি যাত্রীবাহী বাস থেকে সেখানকার পুলিশের সহযোগিতায় আটক করা হয়েছে।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, ফিরোজ আলী বিয়ের আগে থেকেই নেশাগ্রস্ত ছিল। গত চার বছর আগে পুঠিয়া পৌরসভার ৪নং কৃষ্ণপুর ওয়ার্ডের কৃষ্ণপুর পশ্চিমপাড়া এলাকার জুলহাস আলীর মেয়ে নিহত পলি খাতুনের সঙ্গে বিয়ে হয় ফিরোজের।
বিয়ের পর থেকে নেশার টাকার জন্য সে তার বাড়ির বিভিন্ন জিনিসপত্র বিক্রি করত। এ নিয়ে তার স্ত্রী পলির সঙ্গে ঝগড়া-বিবাদ লেগেই থাকত। মাঝে মধ্যে ফিরোজ তার স্ত্রীকে শারীরিক নির্যাতনও চালাত।
সোমবার দিবাগত রাতে নেশার টাকার জন্য তার স্ত্রীর সঙ্গে ঝগড়া হয়। একপর্যায়ে এ হত্যাকাণ্ড ঘটতে পারে বলে পুলিশের ধারণা।
পুঠিয়া থানার ওসি (তদন্ত) খালেদ হোসেন বলেন, রাতে খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
মরদেহের পাশ থেকে একটি বড় বালিশ উদ্ধার করা হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, দুজনকে বালিশে চাপা দিয়ে হত্যা করা হয়েছে। এ বিষয়ে থানায় একটি হত্যা মামলা করা প্রস্তুতি চলে বলে জানান পুলিশের ওই কর্মকর্তা।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।