টানা তৃতীয়বারের মতো পুনরায় ক্ষমতায় এসেছেন রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান। তিনি তার বিজয়কে তুরস্কের ৮ কোটি মানুষের বিজয় হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন। তিনি সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করার আহ্বান জানান। তার সামনে বহু চ্যালেঞ্জ অপেক্ষা করছে।
গত চার বছর ধরে চলা অর্থনৈতিক সংকট থেকে তুরস্ককে বের করে নেওয়াটাই এরদোয়ানের জন্য সবথেকে বড় চ্যালেঞ্জ হতে পারে। সিরিয়া সংকটের সমাধান করাটাও একটা বড় ইস্যু। সুদ হার কমানোর বিষয়কে এতদিন সমর্থন করেছেন এরদোয়ান।
তিনি এভাবেই চালিয়ে যাবেন নাকি অর্থনৈতিক সংকট মোকাবেলায় সুদ হার পুনরায় বৃদ্ধি করবেন সেটি এখন গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। জনগণের ক্রয় ক্ষমতা পূর্বের থেকে কমে গিয়েছে। তারা বর্তমান অর্থনৈতিক অবস্থায় সন্তুষ্ট নন।
নির্বাচনী প্রতিশ্রুতিতে এরদোয়ান জনগণের অর্থনৈতিক সংকট দূরীকরণের আশা দিয়েছিলেন। মার্কিন মুদ্রার বিপরীতে তুরস্কের লিরার মান অনেক কমে গিয়েছে। তুরস্কের শেয়ার বাজারের অবস্থাও তেমন ভালো নয়।
তাছাড়া শরণার্থী সমস্যার সমাধান করাটাও এরদোয়ানের সামনে বড় একটি চ্যালেঞ্জ। তিনি শরণার্থীদের দেশে ফেরত পাঠাতে পারবেন কিনা এবং বাশার আল আসাদের সমস্ত দাবি মেনে নিবেন কিনা সেটি দেখার বিষয়।
এটি করতে হলে এরদোয়ানকে সিরিয়া থেকে তুর্কি সেনাদের প্রত্যাহার করে নিতে হবে। এখানে তুরস্কের নীরবতার বিষয়টিও জড়িত। ন্যাটো এবং যুক্তরাষ্ট্রের সাথে তুরস্কের সম্পর্ক কীভাবে সামনে এগিয়ে যাবে সেটাও দেখার বিষয়।
তুরস্ক আর শরণার্থীর বোঝা বইতে রাজি নয়। নারী এবং ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীদের জন্য উল্লেখযোগ্য কাজ করে সবার কাছে প্রশংসিত হয়েছেন এরদোয়ান । তাছাড়া রাশিয়া এবং ইউক্রেন যুদ্ধে তুরস্কের ভূমিকা কেমন হবে সেটি দেখার জন্য আমাদের অপেক্ষা করতে হবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।