জুমবাংলা ডেস্ক : হাতিরঝিলে অবৈধ বিজিএমইএ ভবন ভাঙার পাশাপাশি ব্যবহারযোগ্য মালামাল কেনার জন্য যে দরপত্র রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ ডেকেছিল, তাতে সর্বোচ্চ দর উঠেছে এক কোটি ৭০ লাখ টাকা।
তবে আগ্রহী যে পাঁচ প্রতিষ্ঠান দরপ্রস্তাব জমা দিয়েছে, তাদের মধ্যে ডিনামাইট ব্যবহার করে ভবন ভাঙার অভিজ্ঞতা কারও নেই।
ফলে এখন ডিনামাইট ব্যবহার না করে সনাতনী দেশীয় পদ্ধতিতেই (ম্যানুয়ালি) ভবনটি ভাঙার চেষ্টা করা হবে বলে জানিয়েছেন রাজউকের প্রধান প্রকৌশলী (প্রকল্প বাস্তবায়ন) ও হাতিরঝিল প্রকল্পের পরিচালক এ এস এম রায়হানুল ফেরদৌস।
নিলাম মূল্যায়ন কমিটি দরপত্রগুলো যাচাই বাছাই করছে জানিয়ে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেছেন, “যাচাই বাছাই শেষে আগামী সপ্তাহে বিজিএমইএ ভবন ভাঙার জন্য কার্যাদেশ দেওয়া হবে। কার্যাদেশ পাওয়ার তিন মাসের মধ্যে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানকে পুরো ভবনটি ভাঙতে হবে।”
যে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান কাজটি পাবে ভবন ভাঙার জন্য আলাদা কোনো অর্থ তারা পাবে না। দুটি বেইজমেন্টসহ ১৫ তলা বিজিএমইএ ভবন ভাঙার পর ব্যবহারযোগ্য মালামাল বিক্রি করে তারা তাদের খরচ ও লাভ উঠিয়ে নেবে।
গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের অনুমতি না নিয়ে এবং উন্মুক্ত স্থান ও প্রাকৃতিক জলাধার সংরক্ষণ আইন-২০০০ ভঙ্গ করে বেগুনবাড়ি খালের একাংশ ভরাট করে গড়ে তোলা হয় বিজিএমইএ ভবন। ২০০৬ সালে সেই নির্মাণ কাজ শেষ হয়।
রাজউক এক দিন আগে সবাইকে বের করে সিলগালা করে দেওয়ার পর হাতিরঝিলের বিজিএমইএ ভবনের মূল ফটকে এখন রয়েছে পুলিশের পাহারা। ছবি: আব্দুল্লাহ আল মমীন
জলাশয়ের উপর আড়াআড়িভাবে গড়ে ওঠা এই ভবনকে হাতিরঝিলের প্রকল্পের ‘ক্যান্সার’ আখ্যায়িত করে হাই কোর্ট ২০১১ সালে এক রায়ে ইমারতটি ভেঙে ফেলার নির্দেশ দেয়। পরে আপিল বিভাগেও তা বহাল থাকে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।