আন্তর্জাতিক ডেস্ক : পশ্চিমবঙ্গ জুড়ে চলছে তুমুল নির্বাচনের লড়াই। হামলা-মামলা যেন লেগেই আছে। বিশেষ করে বিজেপি আর তৃণমূলের সংঘর্ষ। পশ্চিমবঙ্গের জলপাইগুড়িতে দুটি পৃথক জায়গায় হামলার শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন বিজেপির নেতাকর্মীরা। আর এ ঘটনায় অভিযোগের আঙ্গুল উঠছে তৃণমূলের দিকে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম জি নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়, সোমবার (২৯ মার্চ) সন্ধ্যায় প্রথম ঘটনাটি ঘটে পাদ্রীকুঠি এলাকায়। এদিন দলীয় পার্টি অফিসের সামনে হোলি খেলারত অবস্থায় হামলার শিকার হন বিজেপি কর্মীরা।
বিজেপি নেতারা অভিযোগ করে বলেন, তাদের উপর কৃষ্ণ দাস প্রধান হেমব্রমের নেতৃত্বে অস্ত্র, লাঠি নিয়ে হামলা চালায় তৃণমূল কর্মীরা। হামলায় কান কেটে যায় ৩৫ বছরের রাজীব রায়ের। সেই সঙ্গে মাথায় কোপও লাগে তার।
ওই বিজেপি কর্মীর শরীরের লাঠির আঘাতে কালশিটে দাগ পড়ে যায়। এরপর তাকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় জলপাইগুড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
এ ঘটনায় বিজেপির জলপাইগুড়ি জেলা কমিটির সহ সভাপতি অলোক চক্রবর্তী বলেন, ‘আমাদের কর্মীরা দোল খেলা করছিলো। তাদের ওপর কৃষ্ণ দাস তার দলবল নিয়ে হামলা চালায়।
তিনি আরও বলেন, আমাদের কর্মীরা হামলায় অভিযুক্ত দশজনকে চিনতে পেরেছে। তাদের নামে অভিযোগ দায়ের করেছি।’ দোষীদের অবিলম্বে গ্রেফতার করা না হলে বৃহত্তর আন্দোলন হবে বলেও জানান তিনি।
এ ঘটনায় বিজেপি ১০ তৃণমূল নেতার নামে জলপাইগুড়ি কোতয়ালি থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে। অভিযোগ অস্বীকার করে তৃণমূল দাবি করেছে, মদ্যপ অবস্থায় বিজেপি কর্মীরা নিজেরা মারামারি করেছিলেন।
অন্যদিকে, দ্বিতীয় ঘটনায় ব্রহ্মতল পাড়ায় পতাকা লাগানোর সময় রবি রায় নামে ২৫ বছরের এক বিজেপি কর্মীর মাথায় লাঠির বাড়ি মারে তৃণমূল বলে অভিযোগ।
এ ঘটনায় তার মাথা ফেটে গেছে বলে জানয়েছে ভারতীয় গণমাধ্যম। তাকে জলপাইগুড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। মাথায় ১৮টি সেলাই করা হয়েছে। এই ঘটনাতেও থানা অভিযোগ দায়ের হয়েছে। দুটি ঘটনারই তদন্তে নেমেছে পুলিশ।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।