২০১৯ সালে মহাবিশ্ব ও বহিঃসৌরগ্রহবিষয়ক যুগান্তকারী আবিষ্কারের জন্য তিন বিজ্ঞানীকে যৌথভাবে পদার্থবিদ্যায় নোবেল পুরস্কার দেওয়া হয়। এই তিন নোবেল জয়ী পদার্থবিদ হলেন কানাডিয়ান বিজ্ঞানী জেমস পেবলস এবং সুইডিশ পদার্থবিদ মাইকেল মায়োর ও দিদিয়ের কুইলোজ। মহাজাগতিক ইতিহাস, মহাবিশ্বের বিবর্তন এবং এতে পৃথিবীর স্থান কোথায়—এ সংশ্লিষ্ট গবেষণার জন্য পুরস্কার পান জেমস পেবলস। আর মাইকেল মায়োর ও দিদিয়ের কুইলোজকে প্রথম এক্সোপ্ল্যানেট বা বহিঃসৌরগ্রহ আবিষ্কারের জন্য পুরস্কৃত করা হয়।
দিদিয়ের কুইলোজ বলেন, যেকোনো আবিষ্কারই আসলে ভাগ্যের ব্যাপার। জুয়া খেলার মতো। আমরা ভাগ্যবান ছিলাম। পিছিয়েও যেতে পারতাম। অন্যরা আমাদের আগে এ আবিষ্কার করে ফেলতে পারত। আমরা ভাগ্যবান ছিলাম বলে কাজ ঠিকঠাক করেছিলাম। পিএইচডি গবেষণার সময় আমি নতুন দৃষ্টিভঙ্গি সম্পর্কে জেনেছি।
গবেষণা একধরনের টিমওয়ার্ক—দলীয় কাজ। আর কাজ করার কোনো নির্দিষ্ট নিয়ম নেই। আপনি যা করতে চান, তা-ই করুন। আমি যখন কাজ করছিলাম, তখন আসলে নোবেল পুরস্কারের কথা ভাবিনি। শুধু ভেবেছিলাম, কাজটা দুর্দান্ত! নতুন কিছু করছি। মানুষের জানার পরিধিকে সামনে এগিয়ে নিচ্ছি।
এ আবিষ্কার নিয়ে আমরা ভীষণ উত্তেজিত ছিলাম। এ ধরনের কাজ আমি ভালোবাসি। মানে, যা করছিলাম, তা ভালোবেসেই করেছি। কখনো ভাবিনি, এর ওপর ভিত্তি করে ক্যারিয়ার গড়ব, নোবেল পুরস্কার পাব। আমি মনে করি, আপনি যদি পিএইচডি গবেষক হন বা নবীন বিজ্ঞানী, তাহলে কোনো বাধাই আসলে সমস্যা না। কী নিয়ে কাজ করছেন, সেটাও বিশেষ কোনো ব্যাপার না। নিজের ওপর বিশ্বাস রেখে কাজ করুন। কাজের সময় উপভোগ করার চেষ্টা করুন। এই তো।
আমরা এই মুহূর্তে আরেকটি পৃথিবী খুঁজে পাচ্ছি না। এ ক্ষেত্রে আমরা ব্যর্থ হয়েছি। আমরা আসলে সঠিক সরঞ্জাম স্থাপন করতে পারিনি। আমরা জানি, কাজগুলো কীভাবে করতে হয়। এখন আমাদের শুধু বাস্তবায়ন করতে হবে। আমি টেরা হান্টিং নামে একটি আন্তর্জাতিক প্রোগ্রাম তৈরি করেছি। বিশ্বের অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ে নতুন যন্ত্রপাতি তৈরি করা হচ্ছে। আমরা এ ধরনের গ্রহ অনুসন্ধান করছি। একটা টেলিস্কোপ বর্তমানে এ কাজ করে।
ভবিষ্যতে আরও কাজ হবে। বিভিন্ন গ্রহের বায়ুমণ্ডল বিশ্লেষণ করার জন্য আমাদের সরঞ্জাম তৈরি করতে হবে। নতুন ধরনের মহাকাশ-সরঞ্জাম তৈরি করতে হবে। অনেকেই এ বিষয়ে কথা বলছেন। আমারও এসব নিয়েই কাজ। এই বিষয়ে তরুণদের একত্রিত করার চেষ্টা করছি। আশা করি, আমার নোবেল পুরস্কার জয় নতুন এসব ধারণাকে উদ্দীপিত করার ক্ষেত্রে সহায়ক হবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।