বিজ্ঞাপনের দ্বারা ইউজারদের অবস্থানের তথ্য সংগ্রহ

মোবাইল অ্যাপ

ক্যান্ডি ক্রাশ ও টিন্ডারের মতো বিশ্বব্যাপী জনপ্রিয় মোবাইল অ্যাপগুলোর মাধ্যমে ব্যবহারকারীদের অবস্থানের তথ্য সংগ্রহ করছে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান। অ্যান্ড্রয়েড ও আইওএস অপারেটিং সিস্টেমনির্ভর যন্ত্রে বিভিন্ন বিজ্ঞাপন প্রদর্শনের সময় গোপনে ব্যবহারকারীদের অবস্থানের তথ্য সংগ্রহ করে থাকে তারা। অ্যাপ নির্মাতারা সরাসরি তথ্য চুরির সঙ্গে জড়িত না থাকলেও, অবস্থানের তথ্য সংগ্রহের ফলে ব্যবহারকারীদের ব্যক্তিগত গোপনীয়তা লঙ্ঘন হচ্ছে।

মোবাইল অ্যাপ

সাইবার নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞদের তথ্য মতে, রিয়েল-টাইম বিডিং (আরটিবি) পদ্ধতির মাধ্যমে বিভিন্ন অ্যাপ থেকে ব্যবহারকারীদের তথ্য চুরি করা হচ্ছে। এ জন্য প্রথমে বিজ্ঞাপনদাতারা অ্যাপে বিজ্ঞাপন দেখানোর জন্য প্রতিযোগিতামূলক দরপত্র জমা দেন। বিডের পর বিজ্ঞাপন প্রদর্শনের সময় ডেটা ব্রোকার প্রতিষ্ঠানগুলো বিজ্ঞাপনের স্ট্রিম থেকে ব্যবহারকারীর অবস্থানসহ অন্যান্য তথ্য সংগ্রহ করে থাকে।

গ্রেভি অ্যানালাইটিকস নামের একটি ডেটা ব্রোকার প্রতিষ্ঠান এ ধরনের তথ্য চুরির ঘটনায় সরাসরি জড়িত বলে জানা গেছে। প্রতিষ্ঠানটির সহযোগী ভেনটেল ইতিমধ্যে বিভিন্ন সংস্থার কাছে অ্যাপ ব্যবহারকারীদের অবস্থানের তথ্য বিক্রিও করেছে। এ বিষয়ে সাইবার নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ জ্যাক এডওয়ার্ডস জানিয়েছেন, এটি প্রথমবারের মতো প্রমাণিত হলো যে বিজ্ঞাপনের বিড স্ট্রিম থেকে ডেটা ব্রোকাররা ব্যবহারকারীদের তথ্য সংগ্রহ করছে। এই ঘটনার পর বিশ্বজুড়ে গোপনীয়তা নিয়ে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। মার্কিন ফেডারেল ট্রেড কমিশন (এফটিসি) গ্রেভি অ্যানালাইটিকস এবং ভেনটেলের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নিয়েছে।

অবস্থানসহ ব্যক্তিগত তথ্য গোপন রাখার জন্য নতুন অ্যাপ নামানোর সময় কোন কোন যন্ত্র ব্যবহারের অনুমতি চাচ্ছে, তা ভালোভাবে জানতে হবে বলে জানিয়েছেন সাইবার নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞরা। এর পাশাপাশি প্রয়োজন ছাড়া যন্ত্রের অবস্থান শনাক্ত বা ক্যামেরা চালুর অনুমতি দেওয়া থেকে বিরত থাকারও পরামর্শ দিয়েছেন তাঁরা।