স্থানীয় মুদ্রার বিকল্প হিসেবে ক্রিপ্টো কারেন্সির গুরুত্ব অনেক বেড়ে গিয়েছে। এ মুদ্রা কোন সরকারি বা বেসরকারি প্রতিষ্ঠান কর্তৃক নিয়ন্ত্রিত হয় না। এটি একটি ডিজিটাল মুদ্রা এবং কাগজে তা ছাপা হয় না। বর্তমানে এক বিটকয়েনের মূল্য সাড়ে ১৭ লাখ টাকা।
২০০৮ সালের বৈশ্বিক অর্থনৈতিক মন্দার কারণে বহু প্রতিষ্ঠান দেউলিয়া হয়ে যায়। মূলত ভুল অর্থনৈতিক পলিসি এবং দুর্নীতির কারণে এমনটি হয়েছিল। এরপর থেকে ডিজিটাল মুদ্রার গুরুত্ব বাড়তে থাকে।
ক্রিপ্টো কারেন্সির প্রথম পরীক্ষামূলক মুদ্রা হচ্ছে বিটকয়েন। অনলাইনে প্রেরক এবং প্রবকের মধ্যে সরাসরি বিটকয়েন আদান প্রদান হয়ে থাকে। এটির সবথেকে ভালো সুবিধা হচ্ছে তৃতীয় কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের সহযোগিতার প্রয়োজন নেই।
যাকে বিটকয়েন পাঠানো প্রয়োজন তাকে সরাসরি এক দেশ থেকে অন্য দেশে সহজেই পাঠানো যায়। বিটকয়েন ব্যবস্থা টিকিয়ে রাখার জন্য মাইনিং করতে হয়। বিটকয়েনের লেনদেনের হিসাব গোপন ভাষা সংরক্ষিত হয়ে থাকে।
এতে করে কেউ এখানে অবৈধভাবে হস্তক্ষেপ করতে পারবে না। ব্লক চেইন ব্যবস্থার বাস্তবায়ন হয় বলে পৃথিবীর যে প্রান্তে আপনি থাকেন না কেন হিসাব দেখতে পারবেন। কিন্তু ব্যাংকিং ব্যবস্থায় তা সম্ভব নয়।
বিটকয়েন অত্যন্ত সুরক্ষিত একটি ব্যবস্থা। বিটকয়েন মাইনিং করার ক্ষেত্রে অনেক কম্পিউটারের প্রয়োজন হয়। অনেক ক্ষেত্রে আপনার কোটি কোটি টাকা খরচ হতে পারে। এসব কম্পিউটারে উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন গ্রাফিক্স কার্ড লাগাতে হয়।
একটি আবদ্ধ রুমে এত ইলেকট্রনিক ডিভাইস নিয়ে কাজ করতে হলে আপনার পর্যাপ্ত পরিমাণ বিদ্যুৎ প্রয়োজন এবং শীতকালীন আবহাওয়া বিরাজ করে এরকম অঞ্চল উপযুক্ত বলে বিবেচিত।
তবে বিটকয়েন মাইনিং করে যে পরিমাণ অর্থ পাওয়া যায় তা দিন দিন কমে আসছে। দুনিয়াতে এরকম লক্ষাধিক মানুষ রয়েছে যাদের কাছে ১০ কোটি টাকা মূল্যের বিটকয়েন জমা আছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।