দক্ষিণী সিনেমার জনপ্রিয় অভিনেত্রী তামান্না ভাটিয়া। দক্ষিণের পাশাপাশি বলিউডেও সমান জনপ্রিয় তিনি। কিছুদিন আগে কন্নড় ভাষায় গান গাওয়ার জোরজুলুমের প্রতিবাদ করে কর্নাটকের ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে ইতিমধ্যেই কোণঠাসা হয়েছেন সোনু নিগম।
এবার রোষানলে পড়লেন তামান্না ভাটিয়া। সরকারি সাবানের বিজ্ঞাপনী দূত হিসেবে দক্ষিণী সুন্দরীকে বেছে নেওয়ায় বেজায় চটেছেন সংশ্লিষ্ট রাজ্যের বাসিন্দারা। সোশাল মিডিয়াতেও বিক্ষোভের পাহাড়। স্বাভাবিকভাবেই প্রবল সমালোচনায় বিদ্ধ হতে হচ্ছে সিদ্দারামাইয়ার সরকারকে। প্রতিবাদ এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে বিতর্কের জেরে শেষমেশ মুখ খুলতে বাধ্য হলেন কর্নাটকের শিল্প-বাণিজ্য মন্ত্রী এমবি পাতিল।
সদ্য তামান্না ভাটিয়ার নাম কর্নাটকের সরকারি সাবান ‘মাইসোর স্যান্ডেল’-এর বিজ্ঞাপনী দূত হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। তার পর থেকেই প্রতিবাদের ঝড়। সংশ্লিষ্ট রাজ্যের বাসিন্দাদের দাবি, কন্নড় ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির কোনও নায়িকাকে না বেছে কেন তামান্নাকে ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর করা হল? প্রশ্ন তুলে সমস্বরে আওয়াজ তুলেছে কর্নাটকবাসীর একাংশ। অনেকে আবার কন্নড় অভিনেত্রী রুক্মিণী বসন্তের নামও প্রস্তাব করেছেন। জানা গিয়েছে, ‘মাইসোর স্যান্ডেল’ সংস্থার সঙ্গে ২ বছরের চুক্তি হয়েছে তামান্নার। যার জন্য মোটা অঙ্কের পারিশ্রমিক পাচ্ছেন নায়িকা।
সূত্রের খবর, ৬.২০ কোটি টাকায় চুক্তিবদ্ধ হন তামান্না। তবে এই সংস্থাকে জাতীয় স্তরে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য দক্ষিণী সুন্দরীকে নির্বাচন করলেও সেটা ভালো মনে নেয়নি কর্নাটকবাসীদের একাংশ। অতঃপর প্রতিবাদের আগুন তাদের সোশাল মিডিয়া জুড়ে।
বিপাকে পড়ে অবশেষে ড্যামেজ কন্ট্রোল করতে মাঠে নামতে হয় মন্ত্রী এমবি পাতিলকে। এক্স হ্যান্ডেলের পোস্টে তিনি তামান্না ভাটিয়াকে বিজ্ঞাপনী দূত হিসেবে বেছে নেওয়ার কারণ ব্যাখ্যা করেছেন। পাতিলের বক্তব্য, কন্নড় ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির প্রতি আমাদের সম্পর্ণ শ্রদ্ধা রয়েছে। এমনকী কিছু কন্নড় ছবি তো বলিউড সিনেমার ব্যবসাকেও চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলে দিচ্ছে। মাইসোর স্যান্ডেল কর্নাটকে খুব জনপ্রিয় এক প্রসাধনী সংস্থা।
এবার সেই জায়গাটা আরও পোক্ত করতে হবে। তবে এবার মাইসোর স্যান্ডেলের ব্যবসার পরিধি বাড়ানোর পরিকল্পনা করা হয়েছে। কারণ এই সাবান আমাদের রাজ্যের গর্ব। কর্নাটকের বাইরেও যাতে এই সংস্থা পৌঁছে যায়, সেই ব্যবস্থা করতেই তামান্নাকে বেছে নেওয়া। কোন দিকগুলো মাথায় রেখে তামান্না ভাটিয়াকে মুখ করা হয়েছে? সেই ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে পাতিল লেখেন, বেশ কিছু বিষয় মাথা রাখা আবশ্যিক। যেমন- বিজ্ঞাপনী দূতের সোশাল মিডিয়ায় ক্রেজ কতটা? টার্গেট অডিয়েন্স এবং অন্য রাজ্যে তিনি কতটা গ্রহণযোগ্য? এসব দেখেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।