জুমবাংলা ডেস্ক : অন্যান্য সংগঠনের ধারাবাহিকতায় এবার অনুষ্ঠিত হচ্ছে ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগ দক্ষিণ ও উত্তরের সম্মেলন। রাজধানীর ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে শনিবার এই সম্মেলন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। সম্মেলনে ঢাকার এই দুই ইউনিটে নতুন নেতৃত্ব আসবে বলে প্রত্যাশা নেতাকর্মীদের। ফলে বর্তমান কমিটির নেতাদের অনেকেই দায়িত্ব থেকে বিদায় নিতে পারেন বলেন দলটির অনেক নেতাকর্মী ধারণা করছেন।
সম্মেলনের শুরুতে দুই ইউনিটের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক অনেকটা আবেগ মাখানো বক্তব্য দেন। দায়িত্ব পালনকালে ভুলত্রুটি ও ব্যর্থতার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ নেতাকর্মীদের কাছে ক্ষমা চেয়ে কিছুটা আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ।
সাধারণ সম্পাদকের বক্তব্য দিতে গিয়ে তিনি দীর্ঘসময় রাজনৈতিক অঙ্গণে নিজের ভূমিকার কথা তুলে ধরেন। দায়িত্ব পাওয়ার পর নিষ্ঠা ও সততার সঙ্গে কাজ করেছেন বলেও দাবি করেন তিনি।
২০১২ সালের ২৭ ডিসেম্বর ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সম্মেলনের সাড়ে তিন বছর পর পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হয়। তাতে উত্তরে সভাপতি হিসেবে একে এম রহমত উল্লাহ ও সাধারণ সম্পাদক হন সাদেক খান। আর দক্ষিণে সভাপতি হিসেবে হাজী আবুল হাসনাত এবং সাধারণ সম্পাদক মনোনীত হন শাহে আলম মুরাদ।
বক্তব্য দিতে গিয়ে মুরাদ বলেন, দীর্ঘদিন রাজনীতি করেছি। অন্যায় অবিচার সহ্য করেছি। তারপরও দলের আদর্শ থেকে বিচ্যুত হইনি।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্দেশে তিনি বলেন, আপনার বিরুদ্ধে যখন এক-এগারোর সময় অন্যায়ভাবে মামলা দেয়া হয়েছে, গ্রেপ্তার করা হয়েছে তখন আমরা ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা মাঠে ছিলাম। আইনজীবীদের সঙ্গে আমরাও রাজপথে ছিলাম। বিএনপি-জামায়াতের আগুন সন্ত্রাস, গুজব প্রতিরোধে মাঠে ছিলাম আমরা।
মুরাদ বলেন, বিএনপি-জামায়াতের সময় মহানগরের প্রতিটি ওয়ার্ড ও থানার নেতাকর্মীরা নির্যাতনের শিকার হয়েছে। আমার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা হয়েছে। কিন্তু আমরা মাঠ ছেড়ে যাইনি।
এর আগে সকাল ১১টার দিকে সম্মেলনের উদ্বোধন করেন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সূত্র : ঢাকাটাইমস
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।