জুমবাংলা ডেস্ক: সংযুক্ত আরব আমিরাত সরকারের ঘোষণা অনুযায়ী প্রবাসীদের উন্নত জীবনযাপন করতে এবং সর্বোত্তম মানের জীবন উপভোগ করার সুযোগ দেওয়া হয়ে থাকে। কাজের ভিসা ছাড়াই প্রবাসীদের এ সুযোগ-সুবিধা দিয়ে থাকে আমিরাত সরকার। যুগান্তেরের প্রতিবেদক ওবায়দুল হক মানিক-এর প্রতিবেদনে এসেছে বিস্তারিত।
সাধারণত কাজের ভিসা ছাড়া সাত ধরনের ভিসার মাধ্যমে প্রবাসী বা অভিবাসীদের দেশটিতে বসবাসের সুযোগ দেওয়া হয়।
গোল্ডেন ভিসা: ন্যূনতম ২ মিলিয়ন আমিরাতি দিরহাম বিনিয়োগসহ সম্পত্তিতে বিনিয়োগকারী, উদ্যোক্তা, মেধাবী শিক্ষার্থী এবং স্নাতক, মানবিক, বিজ্ঞানী, ফ্রন্টলাইন কর্মী এবং কোভিড-১৯ বীর, ব্যতিক্রমী-মেধাবী এবং প্রথম-ডিগ্রিধারী ব্যক্তিদের গোল্ডেন ভিসা দেওয়া হয়। এ ভিসার মাধ্যমে আমিরাতে বসবাসের সুযোগ রয়েছে।
রিমোট ওয়ার্ক ভিসা: আমিরাতের বাইরে কোনো কোম্পানি বা সংস্থায় চাকরি করেন এবং এই কাজের মেয়াদ ন্যূনতম এক বছর রয়েছে- এমন ব্যক্তিদের রিমোট ওয়ার্ক ভিসা দেয় আমিরাত। এক্ষেত্রে আপনি আমিরাতে থেকেও এর বাইরের কোনো দেশে চাকরি করতে পারবেন।
তবে এক্ষেত্রে প্রার্থীকে এক বছরের চুক্তির বৈধতা এবং ন্যূনতম বেতন ৫ হাজার ডলার হতে হবে। একজন বিদেশি নিয়োগকর্তার কাছ থেকে চাকরির প্রমাণ জমা দিতে হবে। এই ভিসার জন্য সংযুক্ত আরব আমিরাতের লোকদের চাকরি বা স্পনসরের প্রয়োজন নেই।
গ্রিন ভিসা: দুই থেকে পাঁচ বছরের মধ্যে, বিনিয়োগকারী বা অংশীদারিত্বে বিনিয়োগকারী, ফ্রিল্যান্সার/স্ব-কর্মসংস্থানকারী, ছাত্র এবং আত্মীয়দের জন্য গ্রিন ভিসা দেয় আমিরাত সরকার। তবে ফ্রিল্যান্সার বা স্বকর্মসংস্থানধারীদের এ ভিসার জন্য অবশ্যই MoHRE-এর কাছ থেকে একটি পারমিট থাকতে হবে। আগের দুই
বছরের স্ব-কর্মসংস্থান থেকে বার্ষিক আয় ৩লাখ ৬০ হাজারের বেশি আয় থাকতে হবে এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতে থাকাকালীন আর্থিক সচ্ছলতা প্রমাণ করতে হবে।
যদিও শিক্ষার্থীদের অবশ্যই লাইসেন্সপ্রাপ্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান দ্বারা স্পনসর করতে হবে এবং বিশ্ববিদ্যালয়, পিতামাতা বা আত্মীয়দের কাছ থেকে ভিসা স্পন্সরশিপ থাকতে হবে।
অবসর ভিসা: যে কোন ৫৫ বছর বা তার বেশি বয়সীরা এ ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন। অবসর গ্রহণের পর এ ভিসা পাওয়ার জন্য তাদের অবশ্যই সম্পত্তিতে Dh2মিলিয়ন বিনিয়োগ করতে হবে। প্রতি মাসে ২০ হাজার দিরহামের কম নয়- এমন একটি সক্রিয় আয় থাকতে হবে।
জব এক্সপ্লোরেশন ভিসা: মিনিস্ট্রি অফ হিউম্যান রিসোর্স অ্যান্ড এমিরেটাইজেশন (MOHRE) নির্দেশিকা অনুসারে প্রথম, দ্বিতীয় বা তৃতীয় দক্ষতা বিভাগের অধীনে থাকা বিদেশি নাগরিকদের চাকরির ইন্টারভিউ, মিটিং এবং ব্যবসার সুযোগ যেমন একটি কোম্পানি সেট আপ করার জন্য ৬০ দিনের ভিসা দেওয়া হবে। তবে এ ভিসার জন্য অবশ্যই বিশ্বের শীর্ষ ৫০০ সেরা বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি থেকে স্নাতক ডিগ্রিধারী হতে হবে।
ডিভোর্স অথবা বিপত্নীক নারী এবং তাদের সন্তান: ডিভোর্সি অথবা বিপত্নীক নারী এবং তাদের সন্তানদের জন্য এক বছরের জন্য ভিসা দিয়ে থাকে আমিরাত। তবে এক্ষত্রে তারাই এ ভিসা পাবেন যারা সংযুক্ত আরব আমিরাতে বসবাসকারী মহিলা যারা বিবাহবিচ্ছেদ বা বিধবা হওয়ার সময় তাদের স্বামীর ভিসায় ছিলেন। এক্সটেনশনটি মৃত্যু বা বিবাহবিচ্ছেদের তারিখ থেকে শুরু হয় এবং শুধুমাত্র একবার মেয়াদ বাড়ানো যেতে পারে এবং বিকল্প স্পন্সরের প্রয়োজন নাই।
মানবিক ছাড়: একজন মহিলা বাসিন্দা যার আমিরাতি স্বামী মারা গেছেন এবং তার এক বা একাধিক সন্তান রয়েছে তাদের জন্য এই ভিসা মঞ্জুর করা হয়। সংযুক্ত আরব আমিরাতের নাগরিকদের পিতামাতা বা সন্তান যারা বিদেশি পাসপোর্ট ধারণ করে এবং বিদেশি পাসপোর্টধারী জিসিসি নাগরিকদের পত্নী এবং সন্তানদেরও মানবিক কারণে
ভিসা দেওয়া হয়। আর এটি দেওয়া হয়ে থাকে কেস-বাই-কেস ভিত্তিতে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।