আন্তর্জাতিক ডেস্ক : বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে দ্রুত সময়ের মধ্যে সরকার ই-ভিসা প্রবর্তন করতে যাচ্ছে। এ বিষয়ে আরব আমিরাতের সরকারি প্রতিষ্ঠান এমিরেটস টেকনোলজি সলিউশনস এলএলসি এবং এর কারিগরি সহযোগী প্রতিষ্ঠান সোসাইটিক ইন্টারন্যাশনাল ডি টেলিকমিউনিকেশনস অ্যারোনাটিকস-এর কাছ থেকে প্রয়োজনীয় সেবা ক্রয়ের উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।
সূত্র জানায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় পরিদর্শনকালে দেশের নাগরিকদের উন্নত পাসপোর্ট সেবা প্রদানের পাশাপাশি ব্যবসা-বাণিজ্য, বিনিয়োগ, পর্যটন, ক্রীড়া ইত্যাদি উদ্দেশ্যে বাংলাদেশে ভ্রমণকারী বিদেশি নাগরিকদের যাতায়াত সহজ ও দ্রুত করার লক্ষ্যে ই-ভিসা প্রবর্তনের কার্যক্রম গ্রহণের নির্দেশ দেন।
সূত্র আরো জানায়, বাংলাদেশে ই-ভিসা বাস্তবায়নের জন্য ২০১৯ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি বহিরাগমন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে আহ্বায়ক করে সুরক্ষা সেবা বিভাগ থেকে একটি কারিগরি কমিটি গঠন করা হয়। বহিরাগমন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তর কর্তৃক ই-ভিসা সল্যুশন সম্পর্কে ধারণা গ্রহণের জন্য আগ্রহী একাধিক প্রতিষ্ঠানের কাছে প্রাথমিক প্রস্তাব আহ্বান করা হয়। প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রস্তাব পর্যালোচনা করে কমিটি ২০২১ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি তারিখে সুরক্ষা সেবা বিভাগে প্রতিবেদন দাখিল করে। এর মধ্যে সংযুক্ত আরব আমিরাত, ফ্রান্স ও জার্মানির ৩টি প্রতিষ্ঠান ই-ভিসা বাস্তবায়নের প্রস্তাব করে।
সংযুক্ত আরব আমিরাতের এমিরেটস টেকনোলজি সল্যুশনস এলএলসি এবং এর কারিগরি সহযোগী প্রতিষ্ঠান সোসাইটি ইন্টারন্যাশনাল ডি টেলিকমিউনিকেশনস অ্যারোনটিকস), জার্মানির ভেরিডস জিএমবিএইচ এবং ফরাসি কোম্পানি থালেকস গ্রুপ থেকে পাওয়া তিনটি প্রস্তাবের উপর মতামত দেওয়ার জন্য বহিরাগমন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তরের মহা পরিচালককে অনুরোধ জানানো হয়।
সূত্র জানায়, ই-ভিসা সল্যুশনটি রাজস্ব বাজেটের আওতায় বাস্তবায়ন করা হবে। কারণ বহিরাগমন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তর ই-ভিসা সার্ভিস দেওয়ার মাধ্যমে রাজস্ব আয় করছে। বর্তমানে বাংলাদেশে প্রতি বছর ১০ লাখেরও বেশি বিদেশি যাত্রী আসে। ই-ভিসা বাস্তবায়নের মাধ্যমে সহজতর ইমিগ্রেশন প্রক্রিয়ার ফলে বিদেশিদের আগমন আরো বৃদ্ধি পাবে। ফলে, উক্ত রাজস্ব আয় ক্রমবর্ধমান হারে বৃদ্ধি পাবে বলে আশা করছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। এ ছাড়াও ই-ভিসা সল্যুশনের মাধ্যমে ভ্রমণকারী অনলাইনে ভিসা ফি পরিশোধ করে আবেদন দাখিল ও ভিসা লাভে সক্ষম হবেন।
উল্লেখ্য সুরক্ষা সেবা বিভাগের আওতাধীন বিভিন্ন নাগরিক সেবা যেমন দ্বৈত নাগরিকত্ব, নিরাপত্তা ছাড়পত্র, পুলিশ প্রতিবেদন ইত্যাদি অনলাইনভিত্তিক করা হয়েছে। জিটুজি পদ্ধতিতে ২০২০ সালে ই-পাসপোর্ট চালু এবং বাস্তবায়িত হচ্ছে। এ ছাড়া, ইমিগ্রেশন প্রক্রিয়া সহজ ও দ্রুততর করার জন্য দেশের বিমান ও স্থল বন্দরগুলোতে ই-গেইট স্থাপন করা হয়েছে। ই-ভিসা সল্যুশন প্রবর্তন করা হলে বিদেশী নাগরিকদেও বাংলাদেশে ভ্রমণ আরও সহজ ও সুরক্ষিত হবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।