ধীরে ধীরে ট্রেনটি ঢাকার বিমানবন্দর স্টেশনে থামল। রাশেদা জানালার গ্রিলে হাত রেখে বাইরের দিকে তাকিয়ে। তার ব্যাগে দুটো স্যুট, কিছু জরুরি কাগজপত্র, আর স্বপ্ন – সৌদি আরবে নার্সিং পেশায় ক্যারিয়ার গড়ার স্বপ্ন। কিন্তু মনে হচ্ছিল, হৃদয়টা স্টেশনের প্ল্যাটফর্মে পড়ে রইল। বাবা-মায়ের চোখের জল, ছোট ভাইয়ের জড়িয়ে ধরা – সেসব ছবি বারবার ভেসে উঠছিল। “বিদেশে কাজ করতে যাওয়ার নিয়ম শুধু কাগজ-কলমের ব্যাপার নয় রাশেদা, এটা তো হৃদয় দিয়ে বুকের পাঁজর ফাঁড়ার যুদ্ধ,” মনের মধ্যে বারবার বলতে থাকল সে। তার মতো লাখো বাংলাদেশির জীবনে এই যাত্রা শুধু পেশাগত উন্নতি নয়, পরিবারের ভবিষ্যৎ বদলের লড়াই। আপনি কি এই লড়াইয়ে নামতে প্রস্তুত?
বিদেশে কাজ করতে যাওয়ার নিয়ম: প্রথম ধাপেই কোন ভিসা আপনার জন্য?
বিদেশে কাজের সুযোগ খুঁজতে গেলেই প্রথম যে শব্দটির মুখোমুখি হতে হবে, তা হলো ভিসা। ভিসা শুধু একটি স্টিকার নয়, এটি আপনার বৈধ উপস্থিতির চাবিকাঠি। বাংলাদেশ থেকে কর্মসংস্থানের জন্য সাধারণত তিন ধরনের ভিসা প্রযোজ্য:
- কর্মী ভিসা (Work Visa): সরাসরি কোনো বিদেশি কোম্পানি আপনাকে নিয়োগ দিলে তারা সাধারণত এই ভিসার ব্যবস্থা করে। স্পন্সরশিপ জরুরি।
- স্কিল্ড মাইগ্রেশন ভিসা (Skilled Migration Visa): অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, নিউজিল্যান্ডের মতো দেশগুলো উচ্চশিক্ষিত ও দক্ষ পেশাজীবীদের জন্য এই ভিসা অফার করে। পয়েন্ট-ভিত্তিক সিস্টেমে আবেদন করতে হয়।
- সিজনাল ওয়ার্ক ভিসা (Seasonal Work Visa): পোল্যান্ড, কোরিয়া বা কৃষিখামারভিত্তিক কাজে মৌসুমি কর্মীদের জন্য বিশেষ ভিসা। সময়সীমা সুনির্দিষ্ট।
আপনার ভিসা পথের প্রথম সিঁড়ি:
- নিয়োগপত্র (Job Offer/Contract): বৈধ চাকরির প্রস্তাব ছাড়া ভিসা অসম্ভব। বিএমইটি (Bureau of Manpower, Employment and Training) অনুমোদিত রিক্রুটিং এজেন্সির মাধ্যমেই শুধু চুক্তি করুন। জাল চুক্তির ফাঁদে পড়বেন না।
- ভিসা আবেদনের ধরন: দেশভেদে প্রক্রিয়া আলাদা। মধ্যপ্রাচ্যে সাধারণত নিয়োগকর্তা (স্পন্সর) ভিসা ইনিশিয়েট করেন। ইউরোপ/অস্ট্রেলিয়াতে আপনাকেই অনলাইনে (যেমন: অস্ট্রেলিয়ার ImmiAccount) আবেদন জমা দিতে হবে।
- আবেদনের সময়সীমা: সৌদি আরবে ভিসা প্রসেসিং ৩-৮ সপ্তাহ, কানাডার এক্সপ্রেস এন্ট্রিতে ৬ মাস পর্যন্ত লাগতে পারে। ধৈর্য্য রাখুন।
- জরুরি ডকুমেন্টস:
- পাসপোর্ট (অন্তত ১৮ মাস ভ্যালিডিটি)
- শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদ (বাংলা হলে নোটারাইজড ইংরেজি অনুবাদ)
- পেশাগত অভিজ্ঞতার সার্টিফিকেট
- মেডিকেল ফিটনেস সার্টিফিকেট (ইমিগ্রেশন মেডিকেল সেন্টার থেকে)
- পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট (পুলিশ সদর দপ্তর/পুলিশ সুপারের কার্যালয় থেকে)
⚠️ সতর্কতা: “জব ভিসা গ্যারান্টি” দাবি করা বা অগ্রিম বিপুল টাকা চাওয়া কোনো এজেন্টকে বিশ্বাস করবেন না। শ্রম অধিদপ্তরের ওয়েবসাইটে (www.bmet.gov.bd) অনুমোদিত এজেন্টদের তালিকা আছে।
বিদেশ গমনের প্রস্তুতি: শুধু পাসপোর্ট নয়, দক্ষতা ও মানসিকতাও চাই
ভিসা পাওয়া মানেই লড়াইয়ের শেষ নয়, বরং শুরু। বিদেশের শ্রমবাজার প্রতিযোগিতায় ভরপুর। শুধু পাসপোর্ট স্ট্যাম্প নয়, আপনাকে প্রমাণ করতে হবে আপনার দক্ষতা:
- ভাষার দখল: আরব বিশ্বে আরবি বা ইংরেজি, ইউরোপে স্থানীয় ভাষা (জার্মান, ফ্রেঞ্চ, স্প্যানিশ), দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় ইংরেজি – ভাষা জানা বাধ্যতামূলক। BRAC Institute of Languages (বিল) বা আলিয়ঁস ফ্রঁসেজ-এর কোর্সগুলোতে যোগ দিন।
- পেশাগত প্রশিক্ষণ: গল্ফ কোর্সে কাজ? হর্টিকালচার ট্রেনিং নিন। কনস্ট্রাকশন লেবার? সেফটি (OSHA) সার্টিফিকেট অর্জন করুন। TVET (Technical and Vocational Education and Training) বা BITAC (Bangladesh Industrial Technical Assistance Centre) সরকারি প্রশিক্ষণ দেয়।
- সাংস্কৃতিক প্রস্তুতি: রমজানে সৌদিতে দিনের বেলা প্রকাশ্যে খাওয়া নিষেধ, জাপানে যথাসময়ে পৌঁছানো শ্রদ্ধার পরিচয়। Expat.com বা InterNations ফোরামে আপনার গন্তব্য দেশের অভিবাসীদের অভিজ্ঞতা পড়ুন।
- মানসিক দৃঢ়তা: বিদেশ মানেই একাকিত্ব, বৈষম্য, বাড়ির টান। মানসিক স্বাস্থ্যকে গুরুত্ব দিন। মনোবিদ ড. মেহতাব খানম বলছেন, “প্রবাসে টিকে থাকতে শারীরিক স্বাস্থ্যের পাশাপাশি মানসিক স্ট্যামিনা গড়ে তোলা জরুরি। নিয়মিত যোগাযোগ রাখুন পরিবারের সাথে, এক্সপ্যাট কমিউনিটিতে যুক্ত হোন।”
📌 প্রাক্টিকাল টিপস:
- টাকা রপ্তানি নিয়ম: বাংলাদেশ ব্যাংকের নিয়ম মেনে বিদেশে টাকা নিন। সাধারণত $৫০০০ পর্যন্ত নেওয়া যায় (ডলার কার্ড/ট্রাভেলার্স চেক)।
- স্বাস্থ্য বিমা: মধ্যপ্রাচ্যে নিয়োগকর্তার দেয়া বাধ্যতামূলক। ইউরোপে (যেমন: জার্মানির পাবলিক হেলথ ইন্স্যুরেন্স) স্থানীয়ভাবে করতে হয়।
- জরুরি যোগাযোগ: বাংলাদেশ দূতাবাসের ফোন নম্বর, স্থানীয় হেল্পলাইন (যেমন: কাতারে TADBEEB – 16000), ট্রাস্টেড ফ্রেন্ডের নম্বর সবসময় রাখুন।
বিএমইটি ও সরকারি প্রক্রিয়া: ধাপে ধাপে অনুমোদন
বাংলাদেশ থেকে বৈধ পথে বিদেশে কাজ করতে বিএমইটি (Bureau of Manpower, Employment and Training)-এর অনুমোদন বাধ্যতামূলক। এই প্রক্রিয়া আপনার সুরক্ষার প্রথম স্তর:
- ই–প্রবাসী পোর্টাল (e-Probartha Portal): প্রথমেই রেজিস্ট্রেশন করুন www.eprobartha.gov.bd-এ।
- চুক্তি যাচাই ও অনুমোদন: এজেন্টের মাধ্যমে প্রাপ্ত চুক্তি বিএমইটি যাচাই করবে। মজুরি, কাজের পরিবেশ, সুযোগ-সুবিধা আদেশপত্রের সাথে মিলছে তো?
- আইটিডি (ইন্টার-ট্রেড ডিপোজিট): নির্দিষ্ট কিছু দেশে (জর্ডান, লেবানন ইত্যাদি) কাজের জন্য এনজিও/ব্যাংকের মাধ্যমে এই ডিপোজিট জমা দিতে হয়। ফেরার পর ফেরত পাওয়া যায়।
- ফিঙ্গারপ্রিন্ট ও বায়োমেট্রিক: বিএমইটি অফিসে গিয়ে বায়োমেট্রিক ডাটা রেকর্ড করান।
- ফিনাল ক্লিয়ারেন্স (ফ্লাইট ক্লিয়ারেন্স): সব ডকুমেন্ট চূড়ান্ত হলে বিএমইটি ফ্লাইট ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট দেবে। এটি ছাড়া এয়ারলাইন্স আপনাকে বোর্ডিং পারমিট দেবে না।
❗ জরুরি: বিএমইটি ফি, মেডিকেল ফি, পুলিশ ভেরিফিকেশন ফি – সবই নির্দিষ্ট। বাড়তি টাকা দাবি করলে শ্রম অধিদপ্তরের হটলাইন 1615 বা মোবাইল অ্যাপ ‘শ্রম সাথী’ -এ অভিযোগ করুন।
বিদেশে প্রথম পদক্ষেপ: অবতরণ থেকে স্থায়িত্ব
বিমান থেকে নেমে নতুন দেশে পা রাখার মুহূর্তটাই সবচেয়ে কঠিন। কী করবেন?
- পাসপোর্ট কন্ট্রোল ও ওয়ার্ক পারমিট: ভিসা স্ট্যাম্প দেখিয়ে ইমিগ্রেশনে যান। কখনো কখনো আলাদা করে ওয়ার্ক পারমিট (ইকামা/রেসিডেন্স পারমিট) নিতে হয়। সব ডকুমেন্টের ফটোকপি রাখুন।
- নিয়োগকর্তার সাথে যোগাযোগ: এয়ারপোর্ট থেকে পিকআপের ব্যবস্থা আছে কিনা নিশ্চিত করুন। প্রয়োজনে স্থানীয় এজেন্ট/নিয়োগকর্তাকে ফোন করুন।
- আবাসন ও চুক্তি পুনর্বিবেচনা: বাসস্থান চুক্তিতে সই করার আগে সব শর্ত ভালোভাবে পড়ুন। মৌখিক চুক্তিতে বিশ্বাস করবেন না।
- ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ও সিম কার্ড: স্থানীয় ব্যাংকে অ্যাকাউন্ট খুলুন (পাসপোর্ট ও ওয়ার্ক পারমিট লাগবে)। দেশি কমিউনিটির সিম কার্ড নিলে বাড়ির সাথে যোগাযোগ সস্তা হবে।
- স্থানীয় কমিউনিটি ও দূতাবাস: বাংলাদেশ দূতাবাসের ঠিকানা নোট করুন। ফেসবুক গ্রুপে (যেমন: “বাংলাদেশি ইন সৌদি আরাবিয়া”) যোগ দিন।
🔥 সমস্যা সমাধানে করণীয়:
- মজুরি না দেওয়া/কম দেওয়া: লিখিত অভিযোগ দিন নিয়োগকর্তাকে। সমাধান না হলে শ্রম আদালতে যান বা দূতাবাসে যোগাযোগ করুন।
- পাসপোর্ট আটকানো: এটি শোষণের হাতিয়ার। দূতাবাসে অবিলম্বে জানান।
- দুর্ঘটনা/স্বাস্থ্যঝুঁকি: স্বাস্থ্যবিমা ব্যবহার করুন। দূতাবাসের সহায়তা নিন।
বাংলাদেশ দূতাবাস – আপনার শেষ ভরসা। ফোন, ইমেইল, বা সরাসরি যোগাযোগ করে সাহায্য চাইতে কখনো দ্বিধা করবেন না।
জেনে রাখুন (FAQs)
বিদেশে কাজ করতে গেলে সর্বনিম্ন শিক্ষাগত যোগ্যতা কত?
শিক্ষাগত যোগ্যতা কাজের ধরনের উপর নির্ভর করে। অদক্ষ শ্রমিকের জন্য এসএসসি পাসও যথেষ্ট হতে পারে, তবে নার্সিং, ইঞ্জিনিয়ারিং বা টেকনিশিয়ানের জন্য ডিপ্লোমা/ডিগ্রি বাধ্যতামূলক। মধ্যপ্রাচ্যে ক্লিনিং/ড্রাইভারের চাকরির জন্য প্রায়শই নির্দিষ্ট শিক্ষাগত যোগ্যতার প্রয়োজন হয় না, কিন্তু ভাষা ও প্রশিক্ষণ সার্টিফিকেট লাগে।
ইংরেজি কম জানলে কি বিদেশে ভালো চাকরি পাওয়া সম্ভব?
মধ্যপ্রাচ্যের নির্মাণশ্রমিক, কৃষিশ্রমিক বা গার্মেন্টস ওয়ার্কারের চাকরির জন্য ইংরেজির অত্যধিক দরকার নাও হতে পারে, তবে স্থানীয় ভাষার (আরবি) বেসিক জানা সুবিধাজনক। ইউরোপ, আমেরিকা, অস্ট্রেলিয়া বা দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় ইংরেজি না জানলে ভালো চাকরি পাওয়া কঠিন। ভাষা শেখার উপর জোর দিন।
কোন দেশে বাংলাদেশিদের জন্য কাজের সুযোগ সবচেয়ে বেশি?
বর্তমানে মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলো (সৌদি আরব, UAE, কাতার, ওমান, কুয়েত) প্রচুর অদক্ষ ও আধা-দক্ষ কর্মী নিচ্ছে, বিশেষ করে নির্মাণ, হাসপাতাল, হোটেল ও গৃহকর্মী খাতে। মালয়েশিয়া ও সিঙ্গাপুরে ম্যানুফ্যাকচারিং ও সার্ভিস সেক্টরে চাহিদা আছে। দক্ষ পেশাজীবীদের জন্য কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, জার্মানি ও জাপানে স্কিল্ড মাইগ্রেশন ভিসার সুযোগ বাড়ছে।
বিদেশ গিয়ে চাকরি না পেলে বা প্রতারণার শিকার হলে কী করব?
সর্বপ্রথম বাংলাদেশ দূতাবাসে যোগাযোগ করুন (ফোন/ইমেইল/সরাসরি গিয়ে)। তারা আইনি পরামর্শ ও সহায়তা দেবে। জাল চুক্তির অভিযোগ করলে বিএমইটি-তে তথ্য দিন। সম্ভব হলে লিখিত প্রমাণ (চুক্তি, মেসেজ, রেকর্ডিং) সংরক্ষণ করুন। কোনো অবস্থাতেই অবৈধ পথে থাকবেন না বা ভিসা ওভারস্টে করবেন না।
কত টাকা খরচ হয় সাধারণত? কোন খরচগুলো জরুরি?
খরচ দেশ ও চাকরির ধরন অনুসারে ভিন্ন। সাধারণত বিএমইটি ফি, মেডিকেল ফি, পাসপোর্ট ফি, পুলিশ ক্লিয়ারেন্স ফি, এজেন্ট সার্ভিস চার্জ (সর্বোচ্চ ১ মাসের বেতন বা সরকার নির্ধারিত সীমা), এয়ার টিকেট ও প্রি-ডিপার্চার ট্রেনিং খরচ বাবদ ৳৮০,০০০ থেকে ৳২,৫০,০০০ পর্যন্ত খরচ হতে পারে। অতিরিক্ত টাকা দাবি করা অবৈধ।
বাংলাদেশে বসেই কি বিদেশি কোম্পানিতে সরাসরি চাকরি পেতে পারি?
হ্যাঁ, বিশেষ করে আইটি সেক্টর, ডিজাইন, ডিজিটাল মার্কেটিং, রিমোট কনসালট্যান্সি বা MNC-তে। লিংকডইন, Glassdoor, Indeed বা কোম্পানির ক্যারিয়ার পেজে নিয়মিত সার্চ করুন। ভিসা স্পন্সরশিপ দেওয়ার ক্ষমতা আছে কিনা চাকরির বিজ্ঞপ্তিতে দেখুন।
এই দীর্ঘ যাত্রাপথে মনে রাখবেন – বিদেশে কাজ করতে যাওয়ার নিয়ম কেবল কাগজপত্রের গল্প নয়। এটি হাজার মাইলের পথ পাড়ি দেওয়ার সাহস, অচেনা সংস্কৃতিকে আপন করে নেওয়ার ধৈর্য্য, এবং পরিবারের মুখে হাসি ফোটানোর দৃঢ় প্রত্যয়। রাশেদা আজ রিয়াদে একজন রেসপেক্টেড নার্স। তার সংগ্রাম ছিল কঠিন, কিন্তু সঠিক নিয়ম, অধ্যবসায়, এবং বাংলাদেশ দূতাবাসের সহায়তা তাকে সাফল্যের মুখ দেখিয়েছে। আপনার স্বপ্নও সত্যি হোক। আজই শুরু করুন – বিএমইটি-র e-Probartha পোর্টালে রেজিস্ট্রেশন করে প্রথম ধাপটি ফেলুন, বা শ্রম অধিদপ্তরের কাউন্সেলিং সেন্টারে (১৬১৫) ফোন করে নির্ভরযোগ্য তথ্য জেনে নিন। আপনার পথ যেন আলোকিত হয়!
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।