জুমবাংলা ডেস্ক : অন্তবর্তী সরকারের মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেছেন, যেসব জেলায় চর, ডিপচর এলাকা রয়েছে এবং যেসব অঞ্চলে প্রচুর গবাদি গো-খাদ্য বা ঘাস রয়েছে, সেখানে পশুর স্বাস্থ্য উন্নয়ন ও মাংস বৃদ্ধির জন্য গুটি রোগ নির্মূলে টিকা কার্যক্রম পরিচালিত হবে। এর মাধ্যমে দেশের মাংসের চাহিদা মেটানো ও ভবিষ্যতে বিদেশে রফতানি করাও সরকারের লক্ষ্য।
শনিবার (২৮ জুন) দুপুরে মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার জয়নগর স্কুল মাঠে জেলা প্রাণিসম্পদ অধিদফতরের আয়োজনে টিকা কার্যক্রমের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন শেষে এ কথা বলেন তিনি।
উপদেষ্টা ফরিদা আখতার জানান, গরুর গুটি রোগের প্রতিষেধক হিসেবে ৩০ লাখ ডোজ টিকা চারটি জেলায় বিতরণ করা হবে। এর মধ্যে শুধু মানিকগঞ্জ জেলাতেই দেয়া হবে ৬ লাখ ডোজ।
তিনি বলেন, ‘এর আগেও এই রোগের প্রতিরোধে চারটি ডোজ প্রদান করা হয়েছে। এখন যে পরিস্থিতি, এতে খামারিদের দুশ্চিন্তা করার কিছু নেই।’
অনুষ্ঠানে উপস্থিত খামারিরা বলেন, বর্তমানে দেশে সবচেয়ে ভয়াবহ প্রাণীরোগ হচ্ছে এলএসডি। এই রোগের টিকা দ্রুত ও পর্যাপ্ত পরিমাণে নিশ্চিত করার পাশাপাশি দুধের ন্যায্য দাম ও খামারিদের জন্য প্রণোদনার দাবি জানান তারা।
খামারি আলিম বলেন, ‘গুটি রোগ প্রচুর ছড়িয়ে পড়েছে। আমরা চাই গুটি রোগের ডোজ বা টিকা আরও দেওয়া হোক।’
রফিক নামের আরেক খামারি বলেন, ‘টিকার পাশাপাশি দুধের দাম বাড়ানো এবং খামারিদের জন্য প্রণোদনা দরকার।’
রাসেল মিয়া বলেন, ‘শুধু মাংস বৃদ্ধি নয়, দুধ উৎপাদন এবং খামারিদের অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করতে হবে।’
শুল্ক নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ: প্রেস উইং
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. মোহাম্মদ আবু সুফিয়ান, মানিকগঞ্জের জেলা প্রশাসক ড. মনোয়ার হোসেন মোল্লা এবং জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তারা।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।