জুমবাংলা ডেস্ক : পাবনায় হাটে-বাজারে উঠতে শুরু করেছে মৌসুমি চারা পেঁয়াজ। বেশি জমিতে আবাদ ও প্রাকৃতিক দুর্যোগ না থাকায় এবার উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাওয়ার আশা কৃষি বিভাগের। তবে, বীজের বাড়তি দামের কারণে বেড়েছে উৎপাদন খরচও। তাই লোকসান কাটাতে বিদেশ থেকে পেঁয়াজ আমদানি না করার দাবি চাষিদের।
দেশের মোট উৎপাদিত পেঁয়াজের চার ভাগের একভাগ সরবরাহ হয় পাবনা থেকে। জেলার সুজানগর, সাঁথিয়া, চাটমোহর ও সদর উপজেলার বিস্তৃর্ণ জমিতে আবাদ হয়েছে চারা জাতের পেঁয়াজ। প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতি না হওয়ায় চলতি মৌসুমে নির্বিঘ্নে আবাদ শেষে এখন পেঁয়াজ উত্তোলনে ব্যস্ত চাষিরা। আর হাটে বাজারে ভিড় করছেন দূর-দূরান্তের ব্যাপারী ও পাইকাররাও।
ঝড়-বৃষ্টিতে ক্ষতি না হওয়ায় চলতি মৌসুমের পেঁয়াজ সংরক্ষণও করা যাবে দীর্ঘদিন গুণগত মানও ভালো। বিদেশ থেকে আমদানি না হলে এ বছরও লাভবান হবার আশা চাষিদের।
রোপন মৌসুমে বীজের আকাশচুম্বী দামের কারণে উৎপাদন খরচ বেড়েছে। তবে সরবরাহ বাড়ায় দাম কমে যাওয়ায় হতাশ চাষিরা।
উপ পরিচালক, পাবনা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ পরিচালক আব্দুল কাদের বলেন, আপাতত সরকারের পেঁয়াজ আমদানির পরিকল্পনা না থাকায় চাষিদের লোকসান হবে না।
চলতি মৌসুমে জেলায় ৪৪ হাজার ৩০ হেক্টর জমিতে চারা পেঁয়াজের উৎপাদন আশা করা হচ্ছে সাড়ে ৬ লাখ মেট্রিক টন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।