Close Menu
Bangla news
    Facebook X (Twitter) Instagram
    Bangla news
    • প্রচ্ছদ
    • জাতীয়
    • অর্থনীতি
    • আন্তর্জাতিক
    • রাজনীতি
    • বিনোদন
    • খেলাধুলা
    • শিক্ষা
    • আরও
      • লাইফস্টাইল
      • বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
      • বিভাগীয় সংবাদ
      • স্বাস্থ্য
      • অন্যরকম খবর
      • অপরাধ-দুর্নীতি
      • পজিটিভ বাংলাদেশ
      • আইন-আদালত
      • ট্র্যাভেল
      • প্রশ্ন ও উত্তর
      • প্রবাসী খবর
      • আজকের রাশিফল
      • মুক্তমত/ফিচার/সাক্ষাৎকার
      • ইতিহাস
      • ক্যাম্পাস
      • ক্যারিয়ার ভাবনা
      • Jobs
      • লাইফ হ্যাকস
      • জমিজমা সংক্রান্ত
    • English
    Bangla news
    Home বিদ্যুতের অনাকাঙ্ক্ষিত মূল্যবৃদ্ধি
    মুক্তমত/ফিচার/সাক্ষাৎকার

    বিদ্যুতের অনাকাঙ্ক্ষিত মূল্যবৃদ্ধি

    জুমবাংলা নিউজ ডেস্কNovember 23, 2022Updated:November 23, 20224 Mins Read
    Advertisement

    বিদ্যুৎসাইফুর রহমান তপন: বিদ্যুতের দাম আবার বাড়ল। মঙ্গলবার সমকালের এক প্রতিবেদন অনুসারে, বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি) সোমবার পাইকারি পর্যায়ে প্রতি ইউনিট বিদ্যুতের দাম প্রায় ২০ শতাংশ বাড়িয়েছে। এর ফলে মাত্র দুই বছর আগে যে বিদ্যুতের দাম ছিল ৪ টাকা ২২ পয়সা, তা ডিসেম্বর থেকে হবে ৬ টাকা ২০ পয়সা। অর্থাৎ বিদ্যুতের পাইকারি দাম ইউনিটপ্রতি প্রায় ২ টাকা বেড়ে গেল।

    ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারিতে পাইকারি বিদ্যুতের দাম প্রতি ইউনিট ৪ টাকা ২২ পয়সা থেকে বাড়িয়ে ৫ টাকা ১৭ পয়সা করা হয়েছিল। একই সময়ে খুচরা বিদ্যুতের দামও গড়ে ইউনিটপ্রতি ৩০-৩২ পয়সা বেড়েছিল। এ অভিজ্ঞতার কারণে বিইআরসির সোমবারের সিদ্ধান্তটি পাইকারি বিদ্যুতের জন্য প্রযোজ্য হলেও খুচরা গ্রাহক পর্যায়ে আবারও আতঙ্ক কাজ করছে। এমনকি বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রীর আশ্বাসও- এখনই গ্রাহক পর্যায়ে পাইকারি বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধির প্রভাব পড়বে না; এ আতঙ্ক কমাতে পারছে না।

    গ্রাহকদের এমন আতঙ্কে ভোগার সংগত কারণও আছে। পিডিবি এই বর্ধিত পাইকারি দামে বিদ্যুৎ বিক্রি করবে বিতরণ কোম্পানিগুলোর কাছে, যারা বর্ধিত খরচটা চাপাবে নানা ক্যাটাগরির গ্রাহকদের ওপর।

    জানা গেছে, ইতোমধ্যে এমনকি পাইকারি বিদ্যুতের দাম বাড়ার আগেই ওজোপাডিকো; যার দায়িত্ব দেশের পশ্চিমাঞ্চলে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা, তাদের গ্রাহক পর্যায়ে বিদ্যুতের দাম ২০ শতাংশ বৃদ্ধির প্রস্তাব বিইআরসিতে জমা দিয়েছে। পাইকারি বিদ্যুতের দাম বাড়ল সোমবার। কিন্তু ওজোপাডিকোর প্রস্তাব গেল শনিবার! তা ছাড়া ঢাকা পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি-ডিপিডিসিও বিইআরসিতে দেওয়ার জন্য বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধির প্রস্তাব প্রায় তৈরি করে ফেলেছে বলে কোম্পানিটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক জানিয়েছেন। বাকি বিতরণ কোম্পানিগুলো অচিরেই তাদের প্রস্তাব বিইআরসির কাছে জমা দেবে বলে জানা গেছে।

       

    নিয়ম অনুসারে বিইআরসি ওই প্রস্তাবগুলোর ওপর গণশুনানি করবে। তার ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত জানাবে। কিছুটা দীর্ঘ এ প্রক্রিয়ার প্রতি ইঙ্গিত করে বিইআরসির চেয়ারম্যানও বলেছেন, এখনই গ্রাহক পর্যায়ে বিদ্যুতের দাম বাড়ছে না। কিন্তু গ্রাহকদের প্রতিমন্ত্রী কিংবা চেয়ারম্যানের এমন কথার ওপর ভরসা রাখার সুযোগ কম। কারণ গত মে মাসে পিডিবির প্রস্তাবের ওপর শুনানি হলেও অক্টোবরে বিইআরসি অনলাইন সংবাদ সম্মেলন করে জানায়, ‘প্রয়োজনীয় তথ্য না দেওয়ায়’ পিডিবির বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধির আবেদনে তারা সাড়া দিতে পারছে না। তখন যদিও বলা হয়েছিল, প্রয়োজনীয় আরও তথ্য-উপাত্ত দিয়ে পিডিবি তিন মাসের মধ্যে আপিল করলে বিইআরসি তা বিবেচনা করবে; এক মাস না যেতেই বিইআরসি ডিগবাজি খেল। এর মধ্যে বিইআরসির চাহিদা অনুসারে পিডিবি কখন নতুন তথ্য-উপাত্ত দিল, কোন প্রক্রিয়ায় সেগুলো যাচাই-বাছাই করা হলো, তা অন্তত এ খাতের গুরুত্বপূর্ণ অংশীজন বিদ্যুৎ গ্রাহক প্রতিনিধিরা জানতে পারেননি।

    আইনে একটি স্বাধীন সংস্থা হলেও অভিযোগ আছে, বিইআরসি বরাবরই সিদ্ধান্তের জন্য সরকারের দিকে তাকিয়ে থাকে। সোমবারের সিদ্ধান্তের বেলায়ও এমনটা হওয়ার আশঙ্কা ব্যাপক। এমনকি অক্টোবরের সিদ্ধান্তও এসেছিল এভাবে। এমনটা মনে করার কারণ হলো, মে মাসে শুনানি হওয়ার পর বিইআরসির কারিগরি মূল্যায়ন কমিটির সুপারিশ ও কমিশনের সদস্যদের কথাবার্তা শুনে সবাই ধরে নিয়েছিল, পাইকারি বিদ্যুতের দাম বাড়বেই। কিন্তু এর মধ্যে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাবে বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেল ও তরল গ্যাসের দাম অস্বাভাবিক বেড়ে গেল। সঙ্গে যুক্ত হলো প্রচণ্ড ডলার সংকট। এমনই সংকট যে বিপিসি তখন তেল আমদানির জন্য ঋণপত্র খুলতে বেশ কয়েকটি সরকারি ব্যাংককে রাজি করাতে পারছিল না বলে সমকালসহ বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে খবর বেরিয়েছিল। ওই পরিস্থিতিতে শুরু হলো বিদ্যুতের লোডশেডিং। ওই অবস্থায় বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধি মানে অবধারিত গণঅসন্তোষের জন্ম দেওয়া। তাই সে পথে হাঁটতে চায়নি সরকার।

    ওদিকে ঋতু বদলের কারণে কিছুদিন ধরে গড় তাপমাত্রা নেমে যাচ্ছে। এসিসহ বিদ্যুৎখেকো ইলেকট্রিক যন্ত্রপাতির ব্যবহার স্বাভাবিকভাবেই কমে গেছে। ফলে বিদ্যুৎ পরিস্থিতিরও লক্ষণীয় উন্নতি ঘটেছে। এখনই সুযোগ বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধির সরকারি পরামর্শ বাস্তবায়নের। এটিও মনে রাখতে হবে, সরকার এখন ডলার সংকটের পাশাপাশি রাজস্ব ঘাটতিতেও আছে। তাই তাকে বাজেট সহায়তার নামে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল-আইএমএফের কাছ থেকে সাড়ে ৪ বিলিয়ন ডলার ঋণ নিতে হচ্ছে। আইএমএফ মানেই নানা ধরনের শর্ত, যার অন্যতম হলো বিদ্যুৎসহ সব ধরনের পরিষেবার মূল্যবৃদ্ধি। মোট কথা, হঠাৎ বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধির ঘোষণাটি আসলে ঝোপ বুঝে কোপ মারার মতো; নিয়মমাফিক কোনো সিদ্ধান্ত নয়। কিছুদিন পর শীত আরেকটু জেঁকে বসবে। তখন বিদ্যুতের চাহিদা আরও হ্রাস পাবে। সম্ভবত এ কারণেই খোদ সরকারের শীর্ষ মহল থেকে বলা হচ্ছে, আগামী মাসে বিদ্যুতের সংকট থাকবে না। তখনই গ্রাহকদের ওপর বিদ্যুতের নতুন ট্যারিফ চাপানোর ঘটনাটি ঘটতে পারে।

    গত এক যুগে বিদ্যুতের দাম গ্রাহক পর্যায়ে ৯০ শতাংশ বেড়েছে, যখন জীবনযাত্রার ব্যয় বেশিরভাগ মানুষের সাধ্যের বাইরে চলে গেছে। নতুন করে গ্রাহক পর্যায়ে বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধি হবে বোঝার ওপর শাকের আঁটির চেয়েও বেশি কিছু। উপরন্তু করোনা মহামারি সমাজের সীমিত আয়ের মানুষের ওপর কী ঝড় বইয়ে দিয়েছে, তা সরকারের নীতিনির্ধারকদের ভালোই জানা আছে। বিভিন্ন সমীক্ষা বলছে, তখন ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের বেশিরভাগেরই আয় এখনও করোনা-পূর্ববর্তী পর্যায়ে যায়নি। এমনকি সরকারি কর্মকর্তারাও বলছেন, সাত বছর আগে তাঁদের বেতন যতটুকু বেড়েছিল, এখন তা দিয়ে সৎভাবে সংসার চালানো দুরূহ। একই পরিস্থিতি শিল্প খাতেও। বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধির কারণে উৎপাদন খরচ যতটুকু বাড়বে, তা পোষাতে হয়তো পণ্যের দাম বাড়াতে হবে। বিদ্যমান আর্থসামাজিক পরিস্থিতিতে এটা সহজ সিদ্ধান্ত নয়।

    দেশের ছয়টি বিতরণ কোম্পানির দু-একটা বাদে সবাই কিন্তু গত কয়েক বছর লাভ করে আসছে। যেখানে ওরা ব্রেক-ইভেনে থাকলেই যথেষ্ট। কোনো কল্যাণ রাষ্ট্রেই সরকারি পরিষেবা সংস্থাগুলো মুনাফামুখী হয় না; জনগণকে মানসম্মত সেবা প্রদানই মূলকথা। এ জন্য প্রদত্ত ভর্তুকিকে জনগণের ক্রয়ক্ষমতা ধরে রাখার পেছনে রাষ্ট্রীয় বিনিয়োগ হিসেবে দেখা হয়। কারও কারও মতে, বিভিন্ন বিতর্কিত বেসরকারি বিদ্যুৎকেন্দ্রে দেয় ক্যাপাসিটি চার্জ বন্ধ হলেই বিদ্যুতের গড় উৎপাদন খরচ কমে যাওয়ার কথা। সে পথ এড়িয়ে মূল্যবৃদ্ধির সহজ পথে হাঁটা কোনো জনবান্ধব সরকারের কাজ হতে পারে না।

    সাইফুর রহমান তপন :সহকারী সম্পাদক, সমকাল

    জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।
    অনাকাঙ্ক্ষিত বিদ্যুতের মুক্তমত/ফিচার/সাক্ষাৎকার মূল্যবৃদ্ধি
    Related Posts
    সালাহউদ্দিন

    পিআর ভোট ব্যবস্থা হাসিনার মতো ফ্যাসিস্ট তৈরি করবে : সালাহউদ্দিন

    September 25, 2025
    মির্জা ফখরুল

    নির্বাচন ফেব্রুয়ারিতেই হবে : মির্জা ফখরুল

    September 25, 2025
    তারেক

    সপ্তাহ কয়েকের মধ্যে দেশে ফিরছেন তারেক রহমান

    September 25, 2025
    সর্বশেষ খবর
    Grey's Anatomy season 22

    Grey’s Anatomy Season 22 Premiere: Is Link’s Fate Sealed After Explosion?

    KPop Demon Hunters

    KPop Demon Hunters Shatters Records, Tops Nielsen Streaming Charts

    Cardinals vs. Seahawks highlights, score

    Cardinals vs. Seahawks Highlights, Score: Seattle Wins 23-20 on Jason Myers’ Walk-Off Field Goal

    Amazon Prime Day beauty deals

    Paige DeSorbo’s Top Amazon Prime Day Beauty Deals: 28 Must-Have Picks

    কর্মী নিতে চায়

    বাংলাদেশি কর্মী নিতে আগ্রহী আলবেনিয়া, ই-ভিসা সুবিধা নিয়ে আলোচনায় প্রধান উপদেষ্টা ইউনূস

    সংঘর্ষ

    সুনামগঞ্জে পিকআপ-সিএনজির মুখোমুখি সংঘর্ষ, নিহত ৩

    Dr. Voddie Baucham Jr. Family

    Dr. Voddie Baucham Jr. Family: A Cornerstone of Faith and Ministry

    মুড়ি

    ফ্রান্সে রপ্তানি হচ্ছে ১,৫০০ কেজি মুড়িসহ দেশি শুকনো খাবার

    স্পিকার

    ফোনের স্পিকারের সাউন্ড কমে গেলে করণীয়

    নিয়োগ

    ৭পদে ৫৭ জনকে নিয়োগ দেবে নরসিংদী জেলার সিভিল সার্জনের কার্যালয়

    • About Us
    • Contact Us
    • Career
    • Advertise
    • DMCA
    • Privacy Policy
    • Feed
    • Banglanews
    © 2025 ZoomBangla News - Powered by ZoomBangla

    Type above and press Enter to search. Press Esc to cancel.